ইউক্রেন সরকারকে উত্খাতের কোনও লক্ষ্য তাদের নেই। রাশিয়া কেবল ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান চায়। আলোচনার মাধ্যমেই যা করার করতে চায় মস্কো। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন রাশিয়ার মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। শুধু তাই নয়, রুশ বিদেশ মন্ত্রকের আশা, পরবর্তী বৈঠকেই উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটবে। অবশ্য, এত কথা বললেও রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মেনেই চলছে রাশিয়ার সামরিক তত্পরতা।
সাধারণ নাগরিকদের ছ'টি 'মানবিক পথ' দিয়ে দেশের বাইরে বের করছে ইউক্রেন। তার মধ্যে একটি পথ হল মারিউপোল। এটা ইউক্রেনের দক্ষিণ বন্দর শহর। এই ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রশাসন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের ওই পথ দিয়ে যেতে দেওয়া হবে। এই শর্তে রাজি হয়েছে রুশ সেনা। যদিও অভিযোগ উঠেছে, যেভাবে চারপাশে গোলাগুলি চলছে, তাতে 'মানবিক পথ' দিয়ে ইউক্রেন পেরোতে পারছেন না সাধারণ নাগরিকরা। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউক্রেনের সেভেরোদোনেত্স্ক এলাকায় রুশ সেনার হামলায় ১০ জন সাধারণ ইউক্রেনবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
তবে, রাশিয়া বর্তমান পরিস্থিতিতে যতই কণ্ঠস্বর নম্র করুক, তারা সেনা প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত বাকি বিশ্ব মস্কোকে বিশ্বাস করতে নারাজ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফের রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানান, তেল থেকে কোনও কিছু রাশিয়ার থেকে কিনবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মস্কোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে ম্যাকডোনাল্ডস, স্টারবাকস এবং কোকাকোলার মতো সব সংস্থাই রাশিয়ায় তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পথে হেঁটেছে ব্রিটেনও।
আরও পড়ুন- শিক্ষালাভের জন্য কেন ভারতীয় এবং অন্যরা ইউক্রেনকেই বেছে নিচ্ছেন
রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বুধবার ফের মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, 'ইউক্রেনের নাগরিক, এখানকার শহর, এখানকার পরিকাঠামোর ওপর রাশিয়া দুই সপ্তাহ ধরে ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার হানা চালাচ্ছে। মানবিক কারণেই বাকি বিশ্বের তা প্রতিরোধ করা কর্তব্য।' এই অবস্থায় ইউক্রেনের হাজারে হাজারে মানুষ জল, বিদ্যুত্ এবং ওষুধের অভাবে কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। যা দেখে আন্তর্জাতিক সংগঠন রেডক্রশ পর্যন্ত বিষয়টিকে 'সর্বনাশা' বলে উল্লেখ করেছে।
Read story in English