Advertisment

ফের বৈঠকে ইউক্রেন-রাশিয়া, সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগই করেনি ভারতীয় দূতাবাস

প্রবল গোলাবর্ষণের মধ্যে ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়া সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বেসমেন্টে আটকে আছেন। পাচ্ছেন না খাবার, পানীয় জলও।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
peace_meeting new 1

শান্তি বৈঠকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।

এর আগে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। স্বাধীনতা, অধিকার- এই দুই সীমারেখায় এসে আটকে গিয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বৈঠক। যা থামতেই ফের বারুদের গন্ধে ভরে গিয়েছে দোনেত্স্ক, কিয়েভ, খারকিভের মতো ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল। একইসঙ্গে, লাফিয়ে বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতি, মৃত্যুর পরিসংখ্যানও।

Advertisment

তবে, একসপ্তাহ পেরিয়ে আসা যুদ্ধ এখনও পর্যন্ত কোনও ফল দিতে পারেনি। ইউক্রেন আগেই শান্তি চাইছিল। শক্তিতে প্রতিবেশী এবং দুর্বল ইউক্রেন দখল করতে না- পেরে লাগাতার ক্ষতির মুখে বিধ্বস্ত রাশিয়াও। মস্কোর শাসকরাও তাই চাইছেন শান্তি আসুক গোটা এলাকায়। সেই শান্তির খোঁজেই বৃহস্পতিবার আগের বৈঠকের স্থান বেলারুশেই ফের চেয়ার-টেবিল পেতে বসে মুখোমুখি হলেন ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।

যুদ্ধ তো শুধু বারুদের নয়। বারুদের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে চলে স্নায়ুযুদ্ধও। বৃহস্পতিবার বৈঠকের আগে অবধি বিবাদমান উভয়পক্ষের সেই স্নায়ুযুদ্ধের সাক্ষী থেকেছেন বিশ্ববাসী। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে এই আধুনিক যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে যখন বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা মানুষের হাড়হিম হয়ে যাচ্ছে, সেই সময় ইউক্রেন দাবি করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের পক্ষে নিহতের সংখ্যাটা স্রেফ ৩৪। নিহতরা কেউই সামরিক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত নন। নিতান্তই সাধারণ মানুষ।

publive-image
বৈঠকে প্রবেশ করছেন ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিরা।

এরপরই নানা কথার মধ্যে দিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, মস্কো আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে, একইসঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংসের চেষ্টাও চলবে। ল্যাভরভ আরও জানান, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় রুশ প্রতিনিধিরা ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের কাছে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। এখন তাঁরা কিয়েভের জবাব পাওয়ার অপেক্ষা করছেন।

এই অবস্থায় ইউক্রেনের সুমি স্টেট ইউনিভার্সিটির ৬০০ থেকে ৭০০ পড়ুয়া এখনও সুমি শহরে আটকে আছেন। এই অঞ্চলটা রাশিয়া সীমান্তের কাছে। তাঁদের অভিযোগ, ভারতীয় দূতাবাসের কোনও আধিকারিক এখনও তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকী, ফোনেও তাঁদের কোনও খোঁজ নেননি। তাঁরা জানিয়েছেন, ফেসবুক পেজের মাধ্যমে তাঁরা বিভিন্ন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, কোনও সাড়া পাননি। তার মধ্যেই লাগাতার রাশিয়ার বাহিনীর ছোড়া গোলা আছড়ে পড়ছে এই এলাকায়। যার জন্য তাঁরা শেল্টারের বাইরে বের হতে পারছেন না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা এখন স্রেফ বাড়ি ফিরতে চান।

Read story in English

Russia-Ukraine Conflict
Advertisment