নামেই যুদ্ধবিরতি। তার মধ্যেই যুদ্ধের দশম দিনে ইউক্রেনে সংঘর্ষ অব্যাহত। ইউক্রেনের থেকে আয়তনে ২৮ গুণ বড় রাশিয়া শনিবার উড়িয়ে দিল ইরপিনের রেলপথ। এই পথ দিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছিল। সেই রেলপথই উড়িয়ে দিল রুশ সেনা।
শুধু তাই নয়, মেলিটোপোলে সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করল রুশ সেনা। পালটা, চেরনিহিভে আবার রুশ বিমান ধ্বংস করে দিল ইউক্রেনের বায়ুসেনা। তবে, ভলনোভাখা এবং মারিউপোলে সংঘর্ষবিরতি পালন করা হয়েছে। ওই সীমান্ত দিয়ে নাগরিকদের অন্যত্র সরানোর জন্য অস্ত্রবিরতি পালন করা হয়েছে।
এর মধ্যেই ওডেসায় বিস্ফোরণ ঘটায় রুশ সেনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে আসছে ৬৪ কিলোমিটার লম্বা রুশ কনভয়। কিয়েভে সেই কনভয়ের প্রবেশ ঠেকাতে ইউক্রেনের রাস্তায় রুশ সেনাকে লক্ষ্য করে গোলাগুলি চালাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনা। তার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে। পালটা, ড্রোন হামলায় রুশ ট্যাংককে ধ্বংস করে সোল্লাসে মেতে উঠেছেন ইউক্রেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
এই পরিস্থিতিতে ভিডিও প্রকাশের লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনী। প্রত্যেকের ভিডিওই দাবি করছে, তাঁরা পরস্পরকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন। এই যুদ্ধে তাঁরাই বিজয়ী হচ্ছেন। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে রাশিয়া আবার দাবি করেছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পোল্যান্ডে পালিয়েছেন। পালটা ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেন দাবি করেছে, জেলেনস্কি কিয়েভেই আছেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে জল এবং বিদ্যুত্হীন অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে ইউক্রেনের নাগরিকদের।
আরও পড়ুন- রাশিয়ার আকাশসীমা বন্ধের প্রভাব কীভাবে ভারতে বিমান চলাচলে পড়েছে
রাশিয়া দুই শহরে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করতেই শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা রেল স্টেশনগুলোয় জড় হতে শুরু করেন। এর মধ্যেই রাশিয়ার গোলায় রেলপথ উড়ে যাওয়ায়, কীভাবে তাঁরা ভলনোভাখা এবং মারিউপোল ছাড়বেন, তা নিয়ে ধন্দে পড়েন বাসিন্দারা। আটকে পড়া নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের বাসে চাপিয়ে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ইউক্রেন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সুমি এলাকায় এখনও বহু ভারতীয় পড়ুয়া আটকে আছেন। তাঁদের উদ্ধার করতে সুমি এলাকায় সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছ ভারত।
Read story in English