Advertisment

মানবিক পোল্যান্ড, ১৭ লক্ষ শরণার্থীদের মুখে খাবার তুলে দিতে এগিয়ে এসেছে একাধিক সংগঠন

শুধুমাত্র পোল্যান্ডেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৭ লাখের বেশি মানুষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন ৩০ লক্ষ ইউক্রেনীয়।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়েছেন ৩০ লক্ষ ইউক্রেনীয়। মঙ্গলবার যুদ্ধের ২০তম দিনে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩০ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক রুশ হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন। এর আগে সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক দফতর (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছিল, তখনও পর্যন্ত ২৭ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ লক্ষই গিয়েছেন পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশ।

Advertisment

কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার হানার মুখে পড়ে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছে ইউক্রেনের একাধিক বহুতল। প্রাণ হারিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অনেকেই। রাষ্ট্র সংঘের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এটিই ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট। এর মধ্যে শুধুমাত্র পোল্যান্ডেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৭ লাখের বেশি মানুষ। রাস্ট্র সংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র ম্যাথিউ সল্টমার্শ বলেছেন, ইউক্রেন থেকে পশ্চিম ইউরোপে পালিয়ে আসা মানুষের মধ্যে বেশির ভাগই নারী এবং শিশু।

পোল্যাণ্ডের মানুষজন তাদের স্বাগত জানাতে কোন খামতি রাখছে না। পোল্যান্ডের রাজধানী শহর ওয়ারশ-এর একটি বাস স্ট্যান্ডের ছবিতে দেখা গিয়েছে স্থানীয়রা ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য কাপড়, খাবার এবং গরম দুধ সব ব্যবস্থাই প্রস্তুত রেখেছে। ওয়ারশ-এর একজন স্বেচ্ছাসেবক আনিয়া এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বাসস্ট্যান্ডে আগত শরনার্থীদের জন্য জামা কাপড়, জুতো, খাবার, ওষুধ সবই রাখা হয়েছে। আমরা তাদের সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদেরকে থাকার জন্য জায়গারও ব্যবস্থা করেছি’। পোল্যান্ড ছাড়াও হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, মলদোভা এবং রোমানিয়াও হয়ে উঠেছে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা শরনার্থীদের আশ্রয়স্থল। মঙ্গলবার, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভেনিয়ার রাস্ট্রনেতারা ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন প্রদর্শনে অবরুদ্ধ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ পরিদর্শন করেছেন। ঘুরে দেখেছেন সামগ্রিক অবস্থা।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক টুইটারে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সাড়ে ১৩ হাজার রুশ সেনা বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ১২৭৯টি সাঁজোয়া গাড়ি, ৪০৪টি ট্যাঙ্ক। এমনকী, জেলেনস্কির কড়া নজর এড়াতে পারেনি রাশিয়ার যুদ্ধবিমানও। ইউক্রেনের দাবি, ইতিমধ্যে রাশিয়ার ৮১টি যুদ্ধবিমান, ৯৫টি কপ্টার নষ্ট করা হয়েছে। একইসঙ্গে নষ্ট হয়েছে রুশ মিসাইল-সহ একাধিক সমরাস্ত্রও। তার পরেও রুশ হানার বিরাম নেই।

ইউক্রেন সূত্রে খবর, কিয়েভে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। রাতভর মিসাইল হানা চলছে রাজধানীতে যার জেরে একাধিক বহুতল কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য শহরের রাস্তায় মৃতদেহের সারি। এদিনও চেরনিহিভে ১০ সাধারণ নাগরিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল রুশ সেনার বিরুদ্ধে। আমজনতার প্রাণহানি কমাতে কিয়েভে কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ। এর ফলে বিশেষ অনুমতি ছাড়া শহরে কেউ ঘুরে বেড়াতে পারবে না। একমাত্র প্রাণ বাঁচাতে ‘বম্ব শেলটারে’ আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ন্যাটো গোষ্ঠীর কাছে আবারও নো-ফ্লাই জোনের আবেদন জানিয়েছে ইউক্রেন।

poland Ukrainian refugees.
Advertisment