ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। মোতায়েন করা হয়েছে সামরিক অস্ত্র এবং সরঞ্জামও। শুধু তাই না। ইউক্রেন সীমান্তে বেশ কিছু বিমানও বাতিল হয়েছে। ওই অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, এমন বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যপথে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ-সহ সেদেশের অন্যত্র বিক্ষোভ চলছে।
বিভিন্ন ডানপন্থী সংগঠন ইতিমধ্যেই ইউক্রেন সেনার সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চেয়েছে। সেই সব সংগঠনে ছেলে থেকে বুড়ো, বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। এই পরিস্থিতিতে লাগাতার বিক্ষোভে যাতে দেশের অর্থনৈতিক কাজকর্ম ব্যাহত না-হয়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কি। তিনি ইউক্রেনবাসীকে শান্ত থাকার আবেদন করেছেন।
তবে ইতিমধ্যে সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার নাগাদ ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এনিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের তিন দিকের সীমান্ত ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনা। তারা ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। সেনার খাদ্য এবং অন্যান্য সরবরাহ অটুট রাখতে মোতায়েন করেছে বিশেষ বাহিনীও। পাশাপাশি, জলে-স্থলে উভয় জায়গাতেই চলতে সক্ষম এমন জাহাজও মোতায়েন করেছে কৃষ্ণসাগরে।
আরও পড়ুন- চলছিল তথ্য পাচার, দেশের স্বার্থে তড়িঘড়ি নিষিদ্ধ আরও ৫৪টি অ্যাপ
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁরা ইউক্রেনে হামলা চালানোর সুযোগ রাশিয়াকে দেবেন না। মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রধান কেন্দ্র পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কার্বিও বলেছেন, তাঁদের কাছে সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে অনেক তথ্য আছে। তবে, নানা কারণে তাঁরা সেই সব প্রকাশ্যে আনতে রাজি হননি। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, 'আমরা সব ঝুঁকির কথা বুঝতে পারছি। তবে, কারও কাছে যদি তথ্য থাকে যে ১০০ জনের বেশি রুশ সেনা ১৬ ফেব্রুয়ারি হামলা চালাবে, দয়া করে আমাদের জানাবেন।'
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যে, হোয়াইট হাউসের দেওয়া বুধবারে হামলা শুরুর সম্ভাবনা নিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের মনোভাব ফুটে উঠেছে। এমনটা মনে করছেন অনেকেই। অনেকের আবার দাবি, দেশবাসীকে শান্ত রাখতেই এমন মন্তব্য করেছেন ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কির কথা গায়ে না- মেখে, অবিলম্বে কূটনৈতিকস্তরে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সম্ভাবনা বাতিলের পরামর্শ দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
Read story in English