/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/cats-26.jpg)
শরনার্থীদের পাশে ব্রিটিশ প্রশাসন।
ইউকে সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর ট্রান্সপোর্ট, গ্রান্ট শ্যাপস, সোমবার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধে সেদেশ থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের দেশের মানুষের সাহায্যে তিনি নিজের বাড়িতে থাকতে দেবেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যতদিন না দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে ততদিন তিনি শরণার্থীদের নিজের দেশে থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি ব্রিটিশ জনগণকে ইউক্রেনের অসহায় মানুষের পাশে থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন," গত দু' সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে মারাত্মক যুদ্ধ দেখেছি আমরা, সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সকলেই সচেতন। এই সময় যে সব মানুষ ইউক্রেনে থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন তাঁদের সকলের পাশে থাকা আমাদের কর্তব্য"।
We've spent the past few weeks as a family discussing the devastating situation in Ukraine, and so we intend to apply today to join other UK households in offering our home to provide refuge to Ukrainians until it is safe for them to return to their country.
— Rt Hon Grant Shapps MP (@grantshapps) March 14, 2022
ব্রিটিশ সরকার রবিবার ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত মানুষের জন্য "হোমস ফর ইউক্রেন" নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে। যেখানে সরকার জনগণকে মাসে ৩৫০ পাউন্ড আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬ মাসের জন্য শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাধ্যতামূলক।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় বিপুল সংখ্যক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আগেই এমন অভিযোগ করছিল ইউক্রেন প্রশাসন। এবার জেলেনস্কি সরকারের সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিল রাষ্ট্রসংঘ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে ৫৯৬ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের কর্তারা।
এই ব্যাপারে জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, নিহত সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ৪৩টি শিশুও রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও ৫৭টি শিশু। সব মিলিয়ে আহত সাধারণ নাগরিকের সংখ্যা ১,০৬৭। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চের মধ্যে এই পরিসংখ্যান বলেই রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্ট্রসংঘ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের কারণে ২৫ লক্ষ মানুষ দেশ ছেড়েছেন।
প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নিহত এবং আহত সাধারণ নাগরিকদের বেশির ভাগই বিস্ফোরণের জেরে বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘ একইসঙ্গে স্বীকার করে নিয়েছে যে তাদের দেওয়া পরিসংখ্যানের চেয়ে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যাটা অনেক বেশি। কারণ, এখনও পর্যন্ত বহু তথ্য সামনেই আসেনি। প্রবল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব খবর সময় মতো সামনে আসছে না বলেই জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকরা।