ওলেনা কুরিলো, ইউক্রেনের এক বছর ৫২’র শিক্ষিকা, কখনোই কল্পনা করতে পারেননি যে তার রক্তে ভেজা মুখ একদিন তার দেশ আক্রমণের প্রতীক হতে পারে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওপর সামরিক হামলা সুরু করে। একের পর এক প্রদেশে হামলা চালায় রুশ সৈন্য। ইউক্রেন তার সর্বশক্তি দিয়ে রুশ আগ্রাসন প্রতিহত করার চেষ্টা করে চলেছে। রাশিয়ার সেনা যাতে মুল শহরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য ইউক্রেনের সেনারা নিজেরাই একের পর এক ব্রিজ নিজেরাই উড়িয়ে দিয়েছে।
আক্রমণের প্রথম দিনে, রাশিয়ান বাহিনী খারকিভ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে একের পর এক হামলা চালায়। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে ৫২ বছর বয়সি স্কুল শিক্ষিকার বাড়ির ওপর। রক্তে ভিজে যায় সারা শরীর। কোন মতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমার বাড়ির ওপরেও আছড়ে পড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, আমি আজ বেঁচে রয়েছি সেই ভয়াবহ গল্প বলার জন্য’।
সারা শরীর ব্যন্ডেজে মোড়া। শুধু মুখটুকু খোলা। আর সেই মুখই যেন আজ হয়ে উঠেছে ইউক্রেনের লড়াইয়ের মুল শক্তি। তিনি নিজেও কোন দিন ভাবেন নি যে তাঁর এই রক্ত মাখা ব্যন্ডেজ করা মুখ সারা দেশের কাছে এক শক্তি হয়ে উঠবে। তিনি জানিয়েছেন, "আমি ইউক্রেনের জন্য সবকিছুই করব, যতটা সম্ভব, আমার যতটা শক্তি আছে, আমি সব সময়ই আমার মাতৃভূমির পাশে থাকব।"
রাশিয়ান সৈন্যরা কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে কিয়েভ দখল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমান করছে যে তারা ইউক্রেনের রাজধানী শহরের কেন্দ্র থেকে ৩০ কিলোমিটার অবস্থান করছে।, ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং আরও লক্ষাধিক লোক তাদের রাজধানী শহরকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মর্মে একাধিক দেশের কাছে সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন জেলেনস্কি।