রীতিমত দাবদাহ চলছে কানাডা-আমেরিকায়। প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে কানাডার তাপমাত্রা। গত এক সপ্তাহে পশ্চিম কানাডায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সব মৃত্যুর নেপথ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এমনটা মানতে নারাজ প্রশাসন। একসময় ব্রিটিশ কলম্বোতে গরমে গড় মৃত্যু হয়েছে ১৬৫ জনের। চলতি বছর সেই সংখ্যা কমবেশি তিন গুণ বেড়েছে। সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি, আমেরিকা এবং কানাডার মতো শীত প্রবণ দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ। একবাক্যে এই তত্ব স্বীকার করে নিয়েছে পরিবেশকর্মীরা।
জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রশাসন নাগরিকদের সচেতন হতে বার্তা পাঠিয়েছে। যত বেশি তাপমাত্রা বাড়বে, পাল্লা দিয়ে বাড়বে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। তাই বিদ্যুৎ সঞ্চয়ে উদ্যোগ নিতে মার্কিনীদের এগিয়ে আসতে বলেছে মার্কিন প্রদেশের নির্বাচিত প্রশাসনগুলো। প্রয়োজন ছাড়া জলের পাম্প, এসি, হিটার, ফ্রিজ ব্যবহার না করতে আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে পশ্চিম কানাডার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রধান জন হোরগান ‘জলবায়ু সঙ্কট যে নেহাৎ কথার কথা বা কল্পনা নয় বরং ঘোর বাস্তব, তা গত কয়েকদিনে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন কানাডা এবং আমেরিকার মানুষ।’
গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির দৌড়ে একে অপরকে ছাপিয়ে গিয়েছে আমেরিকার লাস ভেগাস এবং কানাডার ভ্যাঙ্কুভার। লাস ভেগাসে আগের সপ্তাহের সর্বাধিক তাপমাত্রা ছিল ৪৭ ডিগ্রি। এই সপ্তাহে সেই তাপমাত্রাকে ছাপিয়ে গিয়েছে পশ্চিম কলম্বোর এই শহর।
তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে একটু ছায়া বা ঠাণ্ডার খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন কানাডাবাসী। যাঁদের বাড়িতে এসি নেই, তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন স্থানীয় হোটেলে। সেই হোটেলেও ঘর পেতে হা পিত্যেশ করে রয়েছেন অনেক পরিবার। এর মধ্যেই সব রেকর্ড ছাপিয়ে দৈনিক প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হয়েছে কানাডাজুড়ে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খব্র কোভিডবিধি, গণ টিকাকরণ এবং তাপমাত্রার হঠাৎ বৃদ্ধি। এই তিনের গ্যাঁড়াকলে ঘোর বিপাকে কানাডা এবং মার্কিন প্রশাসন। এহেন প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকল্পনা নেই বিডেন এবং ট্রুডো সরকারের। এমনটাই দাবি পরিবেশবিদদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন