রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেন দূতাবাস খালি করার নির্দেশ দিল আমেরিকা। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া লক্ষাধিক সৈন্য মোতায়েন করার পর থেকেই আমেরিকা উদ্বিগ্ন। বিশ্বের বিভিন্ন সমমনোভাবাপন্ন দেশের নেতাদের কাছে সেই উদ্বেগ ওয়াশিংটন প্রকাশও করেছে। প্রকাশ করেছে ন্যাটো জোটের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের কাছেও।
এরপরই ফ্রান্স-জার্মানির রাষ্ট্রনেতাদের বিষয়টি দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন নেতৃত্ব। কিন্তু, তারপরও ইউক্রেন নিয়ে উদ্বেগ মেটেনি। বরং, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে ইউক্রেন দূতাবাস থেকে কূটনীতিবিদদের জরুরি ভিত্তিতে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে পরিস্থিতি জটিল হতেই ইউক্রেন দূতাবাস থেকে অধিকাংশ কর্মী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আমেরিকা। তবে, বিষয়টি সরাসরি স্বীকারে রাজি হননি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসে নিযুক্ত কর্মীরা। কারণ, তাঁদের এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলার অনুমতি নেই। হাতেগোনা কয়েকজন মার্কিন দূতাবাস কর্মীকে অবশ্য ইউক্রেনের পশ্চিম প্রান্তে পোল্যান্ড সীমান্তে রাখা হবে বলেই বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বর্তমানে গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। একসময় সোভিয়েত রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল ইউক্রেন। সেই সূত্রে বরাবরই ইউক্রেনকে নিজেদের অধীন রাষ্ট্র বলে কার্যত মনে করে রাশিয়া। বারেবারে ইউক্রেনের বিদেশনীতিতে হস্তক্ষেপেরও চেষ্টা করে মস্কো।
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের বেনজির সিদ্ধান্ত, 'স্থগিত' ঘোষণা বিধানসভার অধিবেশন
পালটা, সার্বভৌম রাষ্ট্রের মতোই স্বাধীন বিদেশনীতি মেনে চলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন। তারা ন্যাটো জোটে থাকতে আগ্রহী। আর, এতেই ইউক্রেনের ওপর অধিকার খর্বের আশঙ্কায় ভুগছে পুতিনের দেশ। খনিজ সমৃদ্ধ ইউক্রেনকে নিজেদের বশে রাখতেই ইউক্রেন সীমান্তে সেনাসংখ্যা বাড়িয়েছে রাশিয়া। মজুত করেছে বিপুল সামরিক অস্ত্রভাণ্ডার।
আর, তাতেই উদ্বিগ্ন ইউরোপ। কারণ, এই হামলার সম্ভাবনার মধ্যেই চিন সফর করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। পুতিন ও জিনপিঙের মধ্যে বাণিজ্য ছাড়াও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি, চিন সরকারের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে পাকিস্তানেরও। বৈঠক হয়েছে উত্তর কোরিয়ার কিম জং-উনেরও। যা আসলে বিশ্বজুড়ে অক্ষ তৈরির চেষ্টা বলেই মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোট।
Read story in English