রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়াতে চলেছে আমেরিকা ও তার ইউরোপীয় জোটসঙ্গীরা। পদক্ষেপ করতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে বিষয়টি উত্থাপনও করা হয়েছে। জানিয়েছেন ইউএস সেক্রেটরি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
ইউরোপের দেশগুলির বেশিরভাগই অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য রাশিয়ার উপর নির্ভর করে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় রাশিয়ান পণ্য নিষিদ্ধ করার ধারণাটি আরও জোড়াল হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
এদিকে, ইউএস হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও রবিবারের একটি চিঠিতে বলেছেন যে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করতে আইন 'অন্বেষণ' করা হচ্ছে এবং মস্কোর সামরিক আক্রমণের জেরে মার্কিন কংগ্রেস এই সপ্তাহে ইউক্রেনের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দানে আগ্রহী।
সূত্রে খবর, হোয়াইট হাউস এই সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সেনেটের অর্থ কমিটি এবং হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের অর্থ কমিটির সঙ্গে কথা বলছে। তবে, দুনিয়াজুড়ে যাতে অপরিশোধিত তেলের যোগান মসৃণ থাকে তার জন্যও ব্লিনকেন নজরদারির কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে আমরা আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলছি। তবে বিশ্বে তেলের যোগান যাতে ব্যহত না হয় সেদিকটিও দেখতে হবে।'
আরও পড়ুন- কাটল না নিরাপত্তার অভাব, ফের পিছিয়ে গেল সুমির ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার
ব্লিঙ্কেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জেরে ইৎোপীয় মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় সাধনে ইউরোপ জুড়ে সফর করছেন। তাঁর দাবি, তিনি নিজে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
জাপান, রাশিয়াকে অপরিশোধিত তেলের পঞ্চম বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসাবে বিবেচিত। সেই রাশিয়াও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বলে খবর।
রাশিয়া থেকে তেল আমদানির উপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, জাপানের শীর্ষ সরকারের মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গত সপ্তাহে তেলের দাম বেড়েছে। যা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
Read in English