চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সুর চড়াল আমেরিকা। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ, তিব্বত এবং হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে চিনা শীর্ষ কূটনীতিবিদ ইয়াং জিয়েচির কাছে উষ্মা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টোনি ব্লিংকেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "আমেরিকা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়াবে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে বেজিংকে ছেড়ে কথা বলবে না ওয়াশিংটন।"
সেইসঙ্গে তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, "ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতাবস্থায় নষ্ট হলে ও কোনওরকম আশঙ্কা দেখলেই বেজিংকে তার দায় নিতে হবে। তাইওয়ান উপকূল পর্যন্ত নজর রাখছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক স্তরে এর পরিণাম ভুগতে হবে চিনকে।" তিনি চিনা আধিকারিককে চাপ দেন, মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করার জন্য। এর আগেও আমেরিকার অবস্থান নিয়ে টুইটারে লিখেছিলেন ব্লিংকেন।
প্রসঙ্গত, গত একবছর ধরে চিনে ধর্মীয় উৎপীড়ণের শিকার হয়েছেন উইঘুর মুসলিমরা। তাঁদের জোর করে কৃতদাসের মতো রাখা হচ্ছে, ধর্মান্তকরণে চাপ দেওয়া হচ্ছে, ভেঙে ফেলা হয়েছে বহু মসজিদ। তার জায়গায় বানানো হয়েছে শৌচাগার। তিব্বতেও চিনের আগ্রাসন নিয়ে অসন্তুষ্ট আন্তর্জাতিক মহল। অন্যদিকে, যেভাবে হংকংয়ে গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হচ্ছে, প্রতিবাদীদের হাজতে পোড়া হচ্ছে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন। তাই দায়িত্ব বসেই চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছেন বাইডেন প্রশাসনের কর্তারা।