ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় প্রাণ গেল এক মার্কিন সাংবাদিকের। এই প্রথম কোনও সাংবাদিক এই হামলার খবর সম্প্রচার করতে গিয়ে কর্তব্যের বলি হলেন। কিয়েভ পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সাংবাদিকের নাম ব্রেন্ট রিনৌদ। ৫১ বছরের ওই সাংবাদিক এক মার্কিন দৈনিকের সাংবাদিক। রবিবার তাঁকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জওয়ানরা গুলি করে হত্যা করেছে বলেই দাবি করেছে ইউক্রেন পুলিশ।
কিয়েভের পুলিশ প্রধান আন্দ্রিয় নেবিতভ জানান, দুটি ঘটনাই ঘটেছে ইরপিন এলাকায়। রাশিয়ার পুলিশ ব্রেন্টকে গুলি করে হত্যা করেছে। আর, আরেক সাংবাদিক গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। নেবিতভ বলেন, 'হামলাকারীরা নিষ্ঠুরভাবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও পর্যন্ত হত্যা করছে। এই সাংবাদিকরা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরছিলেন।'
এই ঘটনার পর খবর রটেছিল, ওই সাংবাদিক এক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ইউক্রেনে কাজ করছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে হত্যা করেছে রাশিয়ার সেনা। যদিও সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে নিহত সাংবাদিক ব্রেন্ট রিনৌদের সংস্থা নিউ ইয়র্ক টাইমস। ওই সংবাদমাধ্যমের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্লিফ লেভি জানান, তাঁরা এই ঘটনায় 'অত্যন্ত ব্যথিত'। কারণ, ব্রেন্ট অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন ফোটোগ্রাফার। চিত্রনির্মাতা হিসেবেও তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন।
তবে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের কোনও দফতর তাঁকে ইউক্রেনে পাঠায়নি বলেই জানিয়েছেন লেভি। তিনি আরও জানান, নিহত সাংবাদিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের ব্যাজ পরেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে সকলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ভাবছেন। কিন্তু, আসলে অনেক বছর আগে ওই সাংবাদিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের হয়ে কাজ করেছেন। তবে, আহত অপর সাংবাদিকের পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। শুধু এই দুটি ঘটনাই না।
আরও পড়ুন- জ্বলন্ত ইউক্রেন, থাকা বিপজ্জনক! দূতাবাস সরাচ্ছে ভারত
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। এমনকী, শুধু সাংবাদিকরাই নন। হাসপাতালের ওপরও হামলা চালাতে দ্বিধা করছে না রাশিয়ার সেনাবাহিনী। শুধুমাত্র রবিবারই ইউক্রেনের এলভিভ শহরের কিছুদূরে আছড়ে পড়েছে রাশিয়ার ৩০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র।
Read story in English