করোনা মহামারীর সময়ে বাড়িতে থেকেও শিশুরা মানসিক এবং শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে সমীক্ষায়। করোন ভাইরাস চলাকালীন সময়ে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর করা নতুন গবেষণা অনুসারে বলা হয়েছে যে অনেক কিশোর-কিশোরী যাদের সেই সময় বাড়িতে থাকার পরমর্শ দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন তাদের জন্য বাড়ি সবসময় নিরাপদ ছিল নয়। বাড়িতে থেকেও তারা নানা ভাবে মানসিক এবং শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিল।
2021 সালের প্রথম দিকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার ছাত্র ছাত্রীদের উপর একটি দেশব্যাপী সমীক্ষা করা হয়েছিল যার মধ্যে ৪৪.২ % ছাত্র ছাত্রী তাদের দুঃখ বা হতাশার অবিরাম অনুভূতির কথা তুলে ধরেছে এবং রিপোর্ট অনুসারে দেখা যায় ৯% পড়ুয়া সেই সময়কালে আত্মহত্যার চেষ্টাও করে। সেই সঙ্গে ৫১.১% ছাত্র ছাত্রী জানিয়েছেন আগের বছরের থেকে তারা সেই সময় তাদের বাড়িতে মা বাবা বা অন্যান্য অভিভাবকদের কাছ থেকে অনেক বেশি মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সেই সঙ্গে শারীরিক নির্যাতনের শিকারও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পড়াশোনার সঙ্গেই দেদার মজা, শিশু মন কাড়তে স্কুলে নয়া তৎপরতা কেজরি সরকারের
মহামারীর আগে পরিচালিত গবেষণা অনুসারে দেখা গিয়েছে ১৩.৩% ছাত্র ছাত্রী যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ তারা মানসিক নির্যাতনের কথা জানিয়েছে এবং ৫.৫% শারীরিক নির্যাতনের রিপোর্ট করেছেন৷ সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে করোনা কালীন সময়ে ২৯% ছাত্র ছাত্রী রিপোর্ট করেছে তাদের মা অথবা বাবার মধ্যে একজন তাদের চাকরি খুইয়েছেন। ২৪% দারিদ্রের শিকার হয়েছে বলেও সমীক্ষা অনুসারে জানা গিয়েছে।
কিশোর ও স্কুল স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রধান ক্যাথলিন ইথিয়ার শারীরিক নির্যাতনের রিপোর্ট বৃদ্ধিকে "উদ্বেগজনক প্রবণতা" এবং আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধিকে "অতি তাৎপর্যপূর্ণ" বলে অভিহিত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন এই তথ্যগুলি দেখিয়েছে, 'মহামারীকালীন সময়ে শিশুরা কতটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন'। গবেষকরা এবং চিকিত্সকরা মহামারী চলাকালীন তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫১%। ইথিয়ার বলেন 'সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে তরুণ প্রজন্ম অনেকে বেশি হতাশার শিকার এবং তারা বাঁচার আনন্দ হারিয়ে ফেলেছে'
CDC ডেটা অনুসারে দেখা গিয়েছে স্কুলে শিশুরা অনেক বেশি নিরাপদ। বোস্টন মেডিক্যাল সেন্টারের একজন শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক ডঃ আন্দ্রেয়া ই. স্পেনসার বলেছেন যে স্কুল "একাধিক শ্রেণীর বাচ্চাদের জন্য ভাল এবং সেখানে তাঁরা বাড়ির থেকে অনেক বেশি নিরাপদ"।
Read full story in English