লাফিয়ে বাড়ছে ভারতে করোনা সংক্রমণ। দেশজুড়ে টিকা ও অক্সিজেনে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে সহাতার প্রতিশ্রুতির ঘোষণা করেছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। রবিবার ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।
এর আগে আমেরিকা সহ উন্নতদেশগুলোকে হাইড্রোক্লোরোক্যুইন পাঠিয়েছিল ভারত। এছাড়াও কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডও পাঠানো হয়েছে। সেই সাহায্যের পাল্টা এবার ভারতেকে সহায়তার কথা জানিয়েছে আমেরিকা।
মার্কিন প্রশাসনের তরফে জারি করা একটি বিবৃতি বলা হয়েছে যে, সেরাম ইনস্টিটিউটে কোভিশিল্ড টিকা প্রস্তুত করার জন্য যে সমস্ত কাঁচামালের প্রয়োজন, তা দ্রুত ভারতে পাঠানো হবে। জানানো হয়েছে, আমেরিকা ভারতের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবে এই অতিমারি মোকাবিলা করতে। টিকা তৈরির কাঁচামালের পাশাপাশি পাঠানো হবে কোভিড চিকিৎসা সরঞ্জামও। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমিলি হর্ন জানিয়েছেন, ভারতের কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করার জন্য আমেরিকা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। পিপিই কিট, র্যাপিড টেস্ট কিট, ওষুধের সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর পাঠানো হবে খুব দ্রুত। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমারেকার নিরাপত্তা উপদেষ্ঠার মধ্যে ফোনে কথোপকথনে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দলকেও দিল্লি পাঠানো হবে। যাঁরা আমেরিকার দূতাবাস ও ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে একযোগে অতিমারি মোকাবিলায় কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ধসে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস- অক্সিজেন, টিকা, ওষুধের যোগানে সংকট দেখা দেওয়ার পরে আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিল ভারত। কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের তরফে টিকা তৈরির কাঁচামাল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার পরেই দেশের জনসাধারণ ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাইডেনের প্রতি। তার জেরেই ফের ভারতকে সহায়তার মার্কিন ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকার মতোই করোনা অতিমারী মোকাবিলায় ভারতকে সাহায্য করবে ব্রিটেনও। প্রধানমন্ত্রী বরিশ জনসন জানিয়েছেন, ভারতকে ইতিমধ্যেই কনসেনট্রেটর ও ইভ্যাসিভ ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়েছে। যা মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লিতে পৌঁছে যাবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি প্রয়োজনে আরও সহায়তা করা হবে।
এর আগেই ভারতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সহায়তার ঘোষণা করেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রোঁ। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ানের ক্রাইসিস ম্যানেজার জানিয়েছেন, ভারতের তরফে করোনা মোকাবিলায় সহায়তার আবেদন করা হয়েছিল, যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন