বেকারত্ব কমল আমেরিকায়। বেকারত্বের হার এপ্রিলে সর্বনিম্ন সাড়ে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে, চাকরির ঘাটতি এখনও মেটেনি। চাকরির বৃদ্ধিও দ্রুতগতিতে কমে গিয়েছে। তার কারণ মুদ্রাস্ফীতি। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি রোধেই এখন জোর দিচ্ছে মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক। শুক্রবার আমেরিকার শ্রম বিভাগের প্রতিবেদন জানিয়েছে, গত মাসে মজুরি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে মোট দেশীয় পণ্যের উত্পাদন হ্রাস সত্ত্বেও মৌলিক অর্থনৈতিক কাঠামো তার ধারা বজায় রাখতে পেরেছে।
লস অ্যাঞ্জেলসের লোয়োলা মেরিমাউন্ট ইউনিভার্সিটির অর্থ এবং অর্থনীতির অধ্যাপক সুং ওয়ান সোহন এই প্রসঙ্গে বলেন, ' ক্রেতাদের হাতে যথেষ্ট অর্থ আছে। ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো লোক নিয়োগের চেষ্টা করছে। তবে, শ্রমিকের ঘাটতি আছে। মজুরি মূল্য বাড়তে পারে। গোটা বিষয়টি ফেডারেল ব্যাংকের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ।' অর্থনীতিবিদদের সমীক্ষা অনুসারে, মার্চ মাসে ৪,৩১,০০০ চাকরি বৃদ্ধি পেয়েছিল। গত মাসে তা কিছুটা কমে ৩,৯১,০০০-এ নেমেছে।
আরও পড়ুন- গোপনে সঙ্গীর কনডোমে ছিদ্র মহিলার, তারপরই ঘটল বড় বিপত্তি!
ইতিমধ্যেই বেকারত্বের হার সাড়ে ৩ শতাংশে নেমে গিয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে এটাই সর্বনিম্ন। মার্চ মাসেও বেকারত্বের হার ছিল ৩.৬ শতাংশ। তার মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতির পরিস্থিতি সামলাতে মার্কিন ফেডারেল ব্যাংক তার সুদের হার পয়েন্ট অর্ধ শতাংশ বাড়িয়েছে। যা গত ২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি। বাজার থেকে অর্থ আদায় করতে আগামী মাসে বন্ডও ছাড়া হতে পারে বলেই অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছে। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি এখন বেশ বেশি।
তবে, অর্থনীতিবিদদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, ফেডারেল ব্যাংক সুদের হার খুব বেশি বাড়ালে আর্থিক বৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে। তার প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানেও। ইতিমধ্যেই উত্পাদনে ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি রেকর্ড ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে। বাকি পরিস্থিতির মধ্যে অভ্যন্তরীণ চাহিদার ঘাটতি ঘটেনি। এই পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের ব্যয়ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানো, উত্পাদন বাড়ানো এবং ব্যবসায় গতি আনা বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য।
Read story in English