যে ভয় ছিলই, সেটাই সত্যি হল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে অশান্ত হল আমেরিকা। ইলেক্টোরাল কলেজের ফলাফল নিয়ে বৈঠকে বসে মার্কিন মুলুকের হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সেনেট। সেখানেই সব দিক বিচার করে ঠিক হয়, নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করে জো বাইডেনই মসনদে আসবেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তপ্ত হয় ক্যাপিটল হিলের পরিস্থিতি। সংবাদসংস্থা এপি জানায় ক্যাপিটল হাউসের ভিতর এক মহিলা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সময় যত এগিয়েছে মৃত্যু বেড়ে হয়ে ৪। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার সেখানের আইন প্রণেতাদের আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকেরা। পরবর্তীতে তা হিংসার রূপ নেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করলে লাগে খণ্ডযুদ্ধ। ট্রাম্প এখনও মেনে নিতে পারেননি যে তিনি এই নির্বাচনে মার্কিনি মন পাননি। বরং এখনও পরাজিত হয়েও হার স্বীকারে নারাজ তিনি। নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এমনকী, বুধবার একটি র্যালি থেকে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমরা হাল ছেড়ে দেব না।" সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানায় প্রথমে ক্যাপিটলের সামনের ধাতব ব্যারিকেড ভাঙে প্রতিবাদকারীরা। এরপর পুলিশি ব্যারিকেডের সঙ্গে বাধে সংঘর্ষ। পুলিশও সেই ভিড় আটকাএ 'লঙ্কার গুড়ো' ছেটায় ক্ষুদ্ধ ট্রাম্প সমর্থকদের উপর।
আরও পড়ুন, ট্রাম্পের ‘গোপন ফোন’, চাপ দিয়ে ভোট উল্টোনোর শেষ চেষ্টা
পুলিশের এই কাজ নিয়ে তাদের 'বিশ্বাসঘাতক' বলে স্লোগান দিতে শুরু করে ক্যাপিটল হিলের সামনে জড়ো হওয়া বিক্ষুদ্ধ জনতা৷ অন্যদিকে, জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট তুলে দেওয়ার আগে এই ঘটনা নিয়ে চিন্তায় সেনেটও। ন্যান্সি পেলোসি জানিয়ে দেন ক্যাপিটলের সুরক্ষা ব্যবস্থা ফিরে এলে এই সার্টিফিকেট বাইডেনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
Through war and strife, America has endured much. And we will endure here and prevail now. pic.twitter.com/OvNOV0ogWG
— Joe Biden (@JoeBiden) January 6, 2021
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইলেক্টেড প্রেসিডেন্ট তথা ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। তিনি জানান এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি চেনেন না। বাইডেন বলেন, "যেটা দেখা যাচ্ছে আমেরিকা সেটা নয়। বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। আর এটা শেষ হওয়া প্রয়োজন। আজ যা দেখছি তার থেকে আগের আমেরিকা অনেক ভাল ছিল।"
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালানোর এই নজিরবিহীন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, ‘আমেরিকা কংগ্রেসের ইতিহাসে এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা।’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এই ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক এবং ঘৃণ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন