অস্ত্র সমর্পণের জন্য ইউক্রেনের সেনাদের আহ্বান জানাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনই একটি ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়। মুহূর্তেই ভিডিও ফুটেজটি ভাইরাল হয়। পরে জানা যায় ওই ব্যক্তি জেলেনস্কি নন।
ভিডিও-তে জেলেনস্কির মতো হুবহু দেখতে একজন বলছেন। ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে মিল রেখে প্রেসিডেন্টের ঠোঁটেরও। তবে ভিডিওতে দেখা যাওয়া বক্তার শরীরের সঙ্গে মাথার সামঞ্জস্য ছিল না। ভিডিওর বক্তব্যের সঙ্গে জেলেনস্কির কণ্ঠস্বরের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
ভিডিও থেকে নেওয়া একটি ছবি ইউক্রেনের টিভি চ্যানেল ইউক্রেনিয়া ২৪-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল। এ ছাড়া ভিডিওতে দেওয়া বার্তা টিভিতে সম্প্রচার করা হয়। তবে পরে ইউক্রেনিয়া ২৪ একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, হ্যাক করার মাধ্যমে টেলিভিশনের নিচে বার্তা সম্প্রচার ও ওয়েবসাইটে ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছিল।
পরে অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি নিজে তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি বার্তা দিয়ে জানান, তাঁর নামে প্রচারিত ওই ভিডিও ফুটেজ ভুয়ো। ভিডিওতে যাকে কথা বলতে দেখা যাচ্ছিল সেটা তিনি নন। জেলেনস্কি আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনা নয় তিনি শুধু রাশিয়ার সেনাদের অস্ত্র ফেলে ঘরে ফেরার আহ্বান জানাতে পারেন।
জানা গিয়েছে, মূলত প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে কেউ একটি ছবিতে জেলেনস্কির মাথা লাগিয়েই এই ভিডিও তৈরি করেছেন। যাকে বলে ‘ডিপফেক’। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর দেশটির প্রেসিডেন্টকে নকল করে তৈরি এই ভিডিও ফুটেজই প্রথম ‘ডিপফেক’।
এর নেপথ্যে রাশিয়ার কারসাজি রয়েছে বলেই মনে করছে ইউক্রেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। রুশ হামলায় বিধ্বস্ত হলেও পালায়নি ইউক্রেনীয় সেনারা। সুযোগ পেলেই জবাব দিচ্ছে তারা। ফলে জয় এখও অধরা পুতিনের দেশের। এই অবস্থায় জয় হাসিলের জন্য কৌশলে ভুয়ো ভিডিও বাজারে ছেড়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে মরিয়া রুশ বাহিনী বলেই অনুমান। ডিপফেক ভিডিও নিয়ে শুরু থেকেই সতর্ক করেছে ইউক্রেনিয় প্রসাসন ও সেনা।
যদিও এ নিয়ে ওয়াশিংটনে স্থিত রুশ দূতাবাসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
Read in English