Advertisment

করোনা অতিমারির শেষ কবে? বড় সড় আপডেট দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

টুইটারেও নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন WHO প্রধান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

খুব বেশি আশার আলো দেখাতে পারছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস

দেখতে দেখতে দু’বছর হয়ে গিয়েছে, সারা বিশ্বকে তটস্থ করে রেখেছে করোনাভাইরাস। প্রশ্ন উঠেছে, কবে মুক্তি মিলবে এই অতিমারীর কবল থেকে? সকলেই এই উত্তর জানতে মরিয়া। এবার অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এবিষয়ে খুব বেশি আশার আলো দেখাতে পারছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস । মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, অতিমারী এখনও শেষ হয়নি। এবং তা শেষের কাছেও পৌঁছয়নি এখনও পর্যন্ত। বরং এখনও বহু দেশেই টিকাকরণের হার যেহেতু বেশ কম, তা রীতিমতো উদ্বেগ জাগাচ্ছে। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে একথা জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাস নিয়ে আরও বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জন্য বিশ্বের একাধিক দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন।

Advertisment

টুইটারেও নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন WHO প্রধান। তিনি লেখেন, ‘‘সারা বিশ্বেই দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। যে সব দেশের টিকাকরণের হার কম, তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছি। কেননা টিকা না নেওয়া ব্যক্তির অসুস্থতা ও মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক গুণ বেশি। আমার সকলের কাছে আরজি, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরের চাপ কমাতে নিজেদের পক্ষে যেটা সেরা সেটাই করুন।’’

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই তিনি সকলকে বারণ করেছিলেন ওমিক্রনকে হালকা ভাবে না নিতে। জানিয়েছিলেন, “এই ভাইরাসটি একেবারেই সোজা কিছু নয়। আর এটাকে হালকাভাবে নেওয়াও উচিত হবে না। ওমিক্রন ডেল্টার থেকে কম মারাত্মক বা যাদের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য কম ক্ষতিকারক। কিন্তু এটাও বিপজ্জনক ভাইরাস। এর সংক্রমণের ফলেও হাসপাতালে ভরতি হওয়ার বা মৃত্যুর ঝুঁকি থাকছেই।”

WHO প্রধান বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে বলেন, কোনওভাবেই এটাকে সাধারণ সর্দিকাশি বলে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। সেই সঙ্গে চলতি কোভিড ভ্যাকসিনে যে ওমিক্রন সহ একাধিক নয়া প্রজাতি কাবু হবে না সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, যতবেশি সংখ্যক মানুষকে আক্রমণ করবে এই ভাইরাস তত বেশি চরিত্র বদলের সুযোগ থাকবে ভাইরাসের। ক্রমেই এটি আগের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক হয়ে উঠবে যেমনটা অমিক্রনের ক্ষেত্রে হয়েছে।

এদিকে মাঝখানে দিন দুয়েক করোনা সংক্রমণের গ্রাফ খানিকটা নিম্নমুখী হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল দেশে। কমছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু দু’দিন বাদে বুধবারের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে ফের একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অনেকটা বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসও। কেন্দ্রের পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশের পর আবারও যে হারে বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা তাতে কিন্তু কলাপে ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞমহলের।

WHO Corona pandamic
Advertisment