ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফের ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ছয় সপ্তাহপর ফের যেভাবে বিশ্বজুড়ে আবার মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO। সোমবার WHO-এর এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই পরিসংখ্যান কিন্তু আতঙ্কের। এভাবে চলতে থাকলে গত বছরের ভয়াবহতা ফিরবে।
মারিয়া ভ্যান কার্কহোভে WHO-এর এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, টানা পাঁচ সপ্তাহ পর ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুর হার। বিশ্বজুড়েই একই অবস্থা। WHO-এর ছটি অঞ্চলের মধ্যে চারটিতেই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোড়ার মতো করোনার নিত্যনতুন স্ট্রেন আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাঁর দাবি, গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপে সেটা প্রায় ১২ শতাংশ। অন্যান্য দেশেও পরিস্থিতি একই।
এর একটা কারণ হিসাবে ব্রিটেনজাত স্ট্রেনকে দায়ী করেছেন মারিয়া। তাঁর দাবি, এই নয়া স্ট্রেন দাবানলের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়াচ্ছে। পূর্ব ইউরোপে সবচেয়ে বেশি হারে সংক্রমণ বাড়ছে। পজিটিভ কেসের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতি সপ্তাহে ৪৯ শতাংশ হারে সংখ্যা বেড়েছে। WHO-এর পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলে ২৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। ফিলিপিন্সে সবচেয়ে বেশি।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ৮ শতাংশ বৃ্দ্ধি দেখা যাচ্ছে পজিটিভ কেসের ক্ষেত্রে। যদিও আমেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলিতে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। যা আশার আলো দেখাচ্ছে। মারিয়া জানিয়েছেন, "গত ছয় সপ্তাহে মৃত্যুর হার কমছিল। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে ফের সেই পরিসংখ্যান ঊর্ধ্বমুখী। এটা বেশ আতঙ্কের। এর আরও একটা কারণ মানুষের সচেতনতা। লকডাউন পরবর্তী সময়ে বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় একাধিক দেশে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে সংক্রমণ। শুধু টিকায় কাজ হবে না, মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।"