Advertisment

Covaxin সরবরাহে আপাতত নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার

এব্যাপারে সংস্থার তরফে জানান হয়েছে 'টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এই টিকার প্রয়োগ পুরোপুরি নিরাপদ'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bharat Biotech gets DCGI nod for intranasal booster dose trial

ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি এই কোভিড টিকা নিয়ে 'সতর্ক' করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ইতিমধ্যে টিকার 'ফ্যাসিলিটি'র মান বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শনিবার বলেছে যে এটি ভারতের ভারত বায়োটেক দ্বারা উৎপাদিত কোভিড ১৯ টিকা কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ বন্ধ করেছে। ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি এই কোভিড টিকা নিয়ে 'সতর্ক' করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ইতিমধ্যে টিকার 'মানোন্নয়ন' বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে সক দেশ এই টিকা নিয়েছে তাদের ও উপযুক্ত ব্যবথা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে! কিন্তু হটাত করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এই বিবৃতি ঘিরেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। তবে উপযুক্ত পদক্ষেপগুলি কী হবে তা নির্দিষ্ট করেনি হু।

Advertisment

হু বলেছে যে সংস্থাটি "জিএমপির ঘাটতিগুলি সমাধান করে তা মেনে চলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি সংশোধনমূলক এবং প্রতিরোধমূলক কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করছে, ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) এবং ডব্লিউএইচওর কাছে জমা দেওয়ার জন্য"। সেই সঙ্গে হু বলেছে ভ্যাকসিনে কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কোন কারণ নেই। তবে উৎপাদন স্থগিত করার জেরে কোভ্যাক্সিন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে। যদিও এব্যাপারে সংস্থার তরফে জানান হয়েছে 'টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। এই টিকার প্রয়োগ পুরোপুরি নিরাপদ'। সেই সঙ্গে সংস্থা জানিয়েছে ইতিমধ্যে কোটি কোটি মানুষ এই টিকা নিয়েছেন এই টিকা সম্পুর্ণ রুপে নিরাপদ।

করোনার প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে করোনা টিকার চাহিদা। সেই চাহিদা হ্রাসের কথা মাথায় রেখে ভারত বায়োটেক ঘোষণা করেছে যে Covaxin উৎপাদন কমানো হবে। Covaxin হল ভারতে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত কোভিড ভ্যাকসিন এবং বর্তমানে এই টিকা কেবল একমাত্র সরকারী কর্মসূচির অধীনে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাদানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- DMK-র কার্যালয় উদ্বোধনে একমঞ্চে বিরোধীরা, ‘ভারতকে বাঁচাতে একজোট হতেই হবে’, বার্তা স্ট্যালিনের

CoWIN পোর্টালের তথ্য অনুসারে, ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩০.৭৮ কোটি ডোজ Covaxin দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে সরকারকে ৫ কোটি থেকে ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করত। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে উৎপাদন কমানো হলেও টিকার গুনগত মানের কোন পরিবর্তন হবে না। সেই সঙ্গে যারা এখন রি টিকা নিচ্ছেন তারা টিকার বৈধ শংসাপত্র পাবেন।

কোভিডের বাড়বাড়ন্তের সঙ্গে সঙ্গে টিকার চাহিদার কথা মাথায় রেখে উৎপাদনের ক্ষেত্রে গতি এনেছিল সংস্থা। এখন করোনার প্রকোপ কম হওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তাই চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় সংস্থা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে টিকার ক্ষেত্রে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে সংস্থা। সেই সঙ্গে । টিকার মানোন্নয়নের বিষয়ে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে সংস্থা।

Read full story in English

Covaxin
Advertisment