তোড়জোড় তুঙ্গে। আফগানিস্তানে তালিবানের সরকার তৈরি হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। তালিবান সরকারের কর্তৃত্ব থাকবে কার হাতে? এই প্রশ্নটাই গত কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিল বিভিন্ন মহলে। অবশেষে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেছে তালিবান। আফগানিস্তানের নতুন সরকার চলবে হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার নির্দেশে। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কুড়ি বছর পর ফের তালিবান-রাজ ফিরেছে আফগান মুলুকে। আমেরিকান সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গোটা দেশের দখল নিয়েছে তালিবান। তালিবানি যোদ্ধারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা আফগান মুলুকে। এদিকে, গত কয়েক দিন ধরেই আফগানিস্তানের নতুন সরকার তৈরি নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল তালিবান নেতৃত্বের মধ্যে। তবে এবার সেই আলোচনা পাকা হয়েছে।
আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের মাথায় বসতে চলেছেন হেবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। তার নির্দেশেই চলবে আফগানিস্তানের নতুন সরকার। একজন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি কাজ করবেন হেবাতুল্লাহের নির্দেশ মেনেই। যদিও এই মুহূর্তে অন্তরালেই রয়েছেন তালিবানের এই শীর্ষ নেতা। তবে দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রয়েছে তার। মুখে আফগানিস্তানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর কথা বলছে তালিবান নেতৃত্ব। তবে নেতৃত্বের সেই বার্তায় কান দিচ্ছে না যোদ্ধারা। কাবুল-সহ দেশের বিভিন্ন প্রদেশে তালিবান যোদ্ধাদের ভয়ে রীতিমতো কাঁপছেন আফগান নাগরিকরা। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখার সাহস করছেন না সাধারণ নাগরিকরা।
আরও পড়ুন- একলাফে বেশ খানিকটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, করোনার বিদ্যুৎ গতি জারি কেরলে
মার্কিন সেনাবাহিনী কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে চলে গিয়েছে। তবে বিমানবন্দরে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা ত্রুটি রয়েছে। বিমান ওঠানামার কাজ যাতে মসৃণ গতিতে চলতে পারে সেব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে তালিবান নেতৃত্ব। তালিবান নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে কাতারের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একটি দল কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্ম যাতে নতুন করে শুরু করা যায় সেদিকটিই খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন