Advertisment

WHO-তে কোভ্যাকসিনের শিকে ছিঁড়বে কি? ২৬ অক্টোবর সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

Covaxine: জরুরিকালীন ভিত্তিতে এই টিকা করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা? সেই প্রশ্নের জবাব মিলবে ২৬ অক্টোবর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covaxin is 77.8 per cent effective against corona

সমস্ত সুরক্ষাবিধি ও যথাযথ পরিমাপ মেনে দেশের ২৫ হাসপাতালে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছিল।

Covaxine: আগামি সপ্তাহে কোভ্যাকসিন নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে হু। ২৬ অক্টোবর বৈঠকে বসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি। তারাই ভারত বায়োটেক-আইসিএমআর তৈরি এই টিকার ভবিষ্যৎ স্থির করবে। জরুরিকালীন ভিত্তিতে এই টিকা করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা? সেই প্রশ্নের জবাব মিলবে ২৬ অক্টোবর। এমনটাই ট্যুইট করে জানান হুয়ের প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন।

Advertisment

জানা গিয়েছে, ১৯ এপ্রিল ইওআই নথি হু-কে জমা দিয়েছে ভারত বায়োটেক। এদিকে, পুজো শেষে করোনা স্বস্তি। দেশের দৈনিক কোভিড-গ্রাফ নিম্নমুখী। আরও কমল অ্যাক্টিভ কেস। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫৯৬ জন। গত ২২১ দিনের মধ্যে এটাই দেশে সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে দেশে করোনার বলি আরও ১৬৬। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি খানিকটা হলেও নাগালে রয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। গত ২৪ দিন ধরে দেশের দৈনিক সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে রয়েছে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্ক এখনও যায়নি। তবে পরপর বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের কোভিড-গ্রাফ স্বস্তি দিচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৮১ হাজার ৩১৫।

তবে বর্তমানে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৯৪। কমছে করোনা অ্যাক্টিভ কেস। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৫২ হাজার ২৯০। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় সংক্রমণ মোট সংক্রমণের ০.৫৬ শতাংশ। গতকালের চেয়ে এদিন উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কমেছে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও।

এই মুহূর্তে দেশে দৈনিক করোনা পজিটিভিটি রেট ১.৩৭ শতাংশ। গত ৪৯ দিন ধরে করোনা পজিটিভিটি রেট তিন শতাংশেরও নীচে রয়েছে। এই মুহূর্তে দেশে দেশে সাপ্তাহিক করোনা পজিটিভিটি রেটও ১.৩৭ শতাংশ। গত ১১৫ দিন ধরে এটিও তিন শতাংশের নীচে রয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনামুক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৩১ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৩৩ শতাংশ।

করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার পরপরই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ।

২০২০-এর ৭ অগাস্ট দেশের মোট সংক্রমণ ২০ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। সে বছরেরই ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৬০ লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করে। শেষমেশ গত নভেম্বরের ২০ তারিখ দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যায়। চলতি বছরের জুন মাসে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে যায়। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

WHO Bharat Biotech Covaccine
Advertisment