রাশিয়ার তেলের ডিপোতে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। শুক্রবার এই অভিযোগ করেছিল মস্কো। রাশিয়ার এই অভিযোগ সত্যি? জবাবে ‘রহস্য’ তৈরি করলেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফক্স নিউজকে প্রেসিডেন্ট সাফ দাবি, সেনা কমান্ডার প্রধান হিসাবে দেওয়া তাঁর কোনও নির্দেশ নিয়েই কথা বলতে রাজি নন তিনি।
এর আগে অবশ্য ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব মস্কোর অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। জানিয়েছিলেন যে, রাশিয়া শুক্রবার উত্তরে বেলগোরোড শহরে দুটি ইউক্রেনীয় হেলিকপ্টারের দ্বারা তেলের ডিপোয় হামলার যে অভইযোগ করেছিলেন তা সঠিক নয়।
প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি হামলা নিয়ে ধোঁয়াশা জারি রেখেছেন ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রীও। বিবিসি-কে তিনি বলেছেন যে, ওই হামলার সঙ্গে ইউক্রেন জড়িত আছে কি না, সে ব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। আপাতত পোল্যান্ডে আস্রয় নিয়েছেন ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী। সেদেশের রাজধানী ওয়ারশতে সাংবাদিকদের ইউক্রেনীয় মন্ত্রী জানিয়েন, তিনি একজন অসামরিক নাগরিক। তাই রাশিয়ার তেলের ডিপোতে আদৌ ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে কি না সে ব্যাপারে তাঁর কাছে কোনও সামরিক তথ্য নেই।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ওলেক্সান্ডার মোতুজিয়ানিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইউক্রেন বর্তমানে নিজেদের ভূখণ্ডে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক অভিযান পরিচালনা করছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রতিটি বিপর্যয়ের জন্য ইউক্রেন-ই দায়ী। আমি এই অভিযোগ নিশ্চিত কিংবা খারিজ, কোনওটাই করছি না।
রাশিয়ার বেলগোরদ প্রদেশের গভর্নর শুক্রবার সকালে দাবি করেছিলেন যে, ইউক্রেনের দু'টি এমআই-২৪ হেলিকপ্টার রুশ তেলের ডিপোয় হামলা চালিয়েছে। এই খবর দিয়েই কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছিল ক্রেমলিন। তেলের ডিপোতে এই হামলা শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে দাবি করেছে মস্কো। রাশিয়ার হুঁশিয়ারি ছিল যে, এই হামলা শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে না।
এ ব্যাপারে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের এক মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্টকে এই হামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। শহরের জ্বালানি সরবরাহ যেন বিঘ্ন না হয়, সেই লক্ষ্যে সব ধরণের পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বেলগোরদ শহরটি ইউক্রেনের উত্তর সীমান্ত ঘেঁষা রাশিয়ার একটি শহর। দু'দিন আগে এই এলাকার একটি অস্ত্রাগারে বিস্ফোরণের ঘটনার পর অভিযোগের নিশানা ছিল ইউক্রেনের দিকেই। তারপর অভিযোগ উঠলো তেল ডিপোতে হামলার।
Read in English