যুদ্ধ বিধ্বস্তদের ক্ষুধা মিটিয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল World Food Programme

যুদ্ধ ও মহামারী বিধ্বস্ত ক্ষুধার্ত মানুষের পেট ভরিয়ে এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এই বিশেষ কর্মসূচি।

যুদ্ধ ও মহামারী বিধ্বস্ত ক্ষুধার্ত মানুষের পেট ভরিয়ে এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এই বিশেষ কর্মসূচি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্য়ময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি...!" ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে যুদ্ধ কী আর মহামারীই বা কী! লিখে গিয়েছিলেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। খিদে চেনে না কোনও ধর্ম, জানে না রাষ্ট্রের সমস্যা। ফি বছর শুধু খাদ্যের অভাবেই লক্ষ লক্ষ মানুষ মরেন পৃথিবীতে। করোনা মহামারী তার ধারে কাছে আসবে না। আর অভুক্ত জনে যে খাবার দেয় সেই তো প্রকৃত মানবসেবী। আর মানবসেবারই পুরস্কার পেল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। যুদ্ধ ও মহামারী বিধ্বস্ত ক্ষুধার্ত মানুষের পেট ভরিয়ে এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এই বিশেষ কর্মসূচি।

Advertisment

আরও পড়ুন সাহিত্য়ে নোবেল জয় মার্কিন কবি লুইস গ্লোকের

রাষ্ট্রসংঘ এবং বিশ্বের বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠনের অংশ এই প্রোগ্রাম গোটা পৃথিবীর মানুষকে নিঃশব্দে খাদ্য জুগিয়েছে। এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮ জন মনোনীতের মধ্যে ২১১ জন ব্যক্তিত্ব এবং ১০৭টি সংস্থা ছিল। মনোনীতের তালিকায় ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রায় ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার মূল্যের এই সম্মান সবাইকে পিছনে ফেলে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবছর এই সম্মান অর্জন করেছে। নোবেল পুরস্কার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুদ্ধ-সংঘর্ষ বিধ্বস্ত এলাকায় ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে থেকে নিরন্তর প্রয়াসে পরিস্থিতি অনুকূল করার জন্য এবং মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের জন্য ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামকে এবছর শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, এবছর ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের রাজধানী অসলোতে স্যর অ্যালফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবসে পুরস্কার মূল্য এবং গোল্ড মেডেল তুলে দেওয়া হবে সংস্থার হাতে। এবারের শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর মধ্যে দিয়ে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখছে বিশ্বর মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

Advertisment

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Nobel Peace Prize