সীমান্ত ইস্য়ুতে সর্বশক্তি দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াবে মার্কিন সেনা। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের তরফে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে, অনলাইনে ক্লাস করলে আমেরিকা ছাড়তে হবে বিদেশী পড়ুয়াদের, এমন নির্দেশিকাই জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। অন্য়দিকে, চিন শাসিত হংকং থেকেই এবার বাজার গুটিয়ে নিচ্ছে জনপ্রিয় অ্য়াপ টিকটক। বিশ্বের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
'সর্বশক্তি দিয়ে ভারতের পাশে মার্কিন সেনা', চিনকে টক্কর দিয়ে বড় ঘোষণা আমেরিকার
ভারত-চিন সীমান্ত ইস্য়ুতে এবার বড়সড় পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করল আমেরিকা। সীমান্ত ইস্য়ুতে সর্বশক্তি দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াবে মার্কিন সেনা। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের তরফে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে।
*ফক্স নিউজকে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ মার্ক মিডোজ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ''বার্তাটা খুবই স্পষ্ট। আমরা চিন বা কাউকে এককভাবে প্রভাবশালী হতে দেব না। আমাদের সেনা সর্বশক্তি দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াবে''।
*উল্লেখ্য়, ইন্দো-চিন সীমান্তে মধ্য়স্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পের মধ্য়স্থতার প্রস্তাব কার্যত এড়িয়ে গিয়েছিল নয়া দিল্লি। এবার এ ইস্য়ুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে যে ঘোষণা করল হোয়াইট হাউস, তা অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
*অন্য়দিকে, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনের বিরুদ্ধে যে বার্তা দিল আমেরিকা, তাও উল্লেখযোগ্য় বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। (বিস্তারিত পড়ুন- ইন্দো-চিন সীমান্ত উত্তেজনায় ভারতীয় সেনার পাশে বলিষ্ঠভাবে দাঁড়াবে মার্কিন বাহিনী, বেজিং-কে চাপে ফেলে ঘোষণা ওয়াশিংটনের)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বিশ্বের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
অনলাইনে ক্লাস করলে আমেরিকা ছাড়তে হবে বিদেশী পড়ুয়াদের, চিন্তায় ভারতীয়রা
আগামী নভেম্বরে মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, আরেকদিকে করোনা অতিমারী। এই দুই আবহের মাঝে ফের বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা ট্রাম্প সরকারের। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের তরফে নতুন যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে ক্লাস যদি অনলাইনে চলতে থাকে তবে বিদেশি পড়ুয়াদের বাধ্য করা হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অথবা অন্য কলেজে তাঁদের স্থানান্তর করা হবে।
এই নোটিস জারি হতেই চিন্তায় পড়েছে আমেরিকায় পড়াশুনো করতে যাওয়া ভারতের একাধিক পড়ুয়ারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন এবং শুল্ক কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা নির্দেশিকার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর দাপট বৃদ্ধি এবং উদ্বেগের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পুনরায় খোলার জন্য অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন, কুয়েত ছাড়তে বাধ্য করা হতে পারে ৮ লক্ষ ভারতীয়কে
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দেন যত দ্রুত সম্ভব স্কুল এবং কলেজগুলিকে তাড়াতাড়ি খুলতে হবে। আর অনলাইন নয়, পড়ুয়াদের স্কুলে এসেই ক্লাস করতে হবে। তিনি টুইটেও স্কুল খোলার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। পাশাপাশি ট্রাম্প এও জানিয়ে দেন যে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা "স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে" স্কুলগুলি বন্ধ রাখতে চান।
SCHOOLS MUST OPEN IN THE FALL!!!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) July 6, 2020
নির্দেশিকায় সাফ জানান হয় বিদেশি পড়ুয়াদের স্কুল এবং কলেজে গিয়েই কিছু ক্লাস করতে হবে। নচেৎ অনলাইনে যারা ক্লাস করবে তাঁদের ভিসা ইস্যু করা হবে না। এই নির্দেশিকা ঘোষণার পর থেকেই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন পড়ুয়ারা। একদিকে স্কুল থেকে বলা হচ্ছে কোভিড আবহে অনলাইনেই ক্লাস করতে হবে। অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে অনলাইনে ক্লাস করলে হয় দেশ ছাড়তে হবে নয়তো অন্য কোনও ব্যবস্থা নিতে হবে।" Read the full story in English
বিশ্বের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
চিন বিরোধী হাওয়া, বেজিংকে চাপে রেখে হংকং থেকে সরছে টিকটক
এ যেন ব্য়ুমেরাং! চিন শাসিত হংকং থেকেই এবার বাজার গুটিয়ে নিচ্ছে জনপ্রিয় অ্য়াপ টিকটক। সম্প্রতি হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করেছে বেজিং। এই আইন ঘিরে বিক্ষোভে ফুঁসছে হংকং। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের এহেন পদক্ষেপের বিরোধিতায় এবার কার্যত এমন সিদ্ধান্ত নিল চিনের বাইটডান্স লিমিটেড।
* আগামী দিনে হংকংয়ের মোবাইল স্টোরগুলো থেকে জনপ্রিয় ভাইরাল ভিডিও অ্য়াপ টিকটককে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাইটডান্স লিমিটেড।
* হংকংয়ে আইনের বিরোধিতা জানিয়েছে ফেসবুক, গুগল, টুইটার। তারপর চিনা অ্য়াপ টিকটকের এমন সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য় বলে মনে করা হচ্ছে।
* গ্রাহকদের তথ্য় শেয়ার করা বা কনটেন্ট সেন্সর করার মতো বেজিং প্রশাসনের সিদ্ধান্তের জেরেই টিকটক এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
* এদিকে, স্বাধীন হংকংয়ের দাবিতে টিকটককে কাজে লাগিয়ে বহু গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী ভিডিও পোস্ট করতেন। টিকটক সরে যাওয়ার ফলে এ ধরনের ভিডিও পোস্ট করা থাকে বিরত থাকবেন বিক্ষোভকারীরা, ফলে আখেরে লাভ হবে কমিউনিস্ট পার্টির।
* টিকটক পরিষেবার এক মুখপাত্র বলেছেন, ''সাম্প্রতিক সময়ে যা হচ্ছে, তাতে হংকংয়ে টিকটক অ্য়াপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি''।
* উল্লেখ্য়, টিকটক-সহ ৫৯টি চিনা অ্য়াপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। টিকটক নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটছে আমেরিকাও। চিন সরকার টিকটককে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের তথ্য় সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। (Read in English)
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে