চিন ‘অনিয়ন্ত্রিত এবং আইনবিরোধী সশস্ত্র আগ্রাসন’ করেছে এই ভাষাতেই শি জিনপিং-এর দেশকে আক্রমণ জানিয়ে ভারতকে সমর্থন করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর মার্কো রুবিও। এদিকে, মঙ্গলবার চিনে পাস হল বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন। অন্য়দিকে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির গদি টলমল। নিজের দলেই এবার কোণঠাসা হয়ে পড়লেন ওলি। বিশ্বের এমনই সব খবর পড়ে নিন বিস্তারিত...
সীমান্তে 'আইনবিরোধী আগ্রাসন', চিনকে দুষে ভারতের পাশে আমেরিকা
লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এবার বিরোধ ছড়াল বিশ্বে। সেনা সংঘর্ষ প্রসঙ্গে চিনকে দুষে এবার ভারতের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। চিন 'অনিয়ন্ত্রিত এবং আইনবিরোধী সশস্ত্র আগ্রাসন' করেছে এই ভাষাতেই শি জিনপিং-এর দেশকে আক্রমণ জানিয়ে ভারতকে সমর্থন করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর মার্কো রুবিও।
সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত তরণজিৎ সিং সান্ধু-এর সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন সেনেটর। চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারতের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এরপর মার্কো রুবিও টুইট করে লেখেন, "আমি রাষ্ট্রদূত সান্ধুর সঙ্গে দেখা করে ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের সংহতি জানাই। কারণ তাঁরা এই মুহুর্তে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা অযাচিত এবং আইনবিরোধী সশস্ত্র আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন।"
Today I spoke to @SandhuTaranjitS to express our solidarity with the people of #India as they firmly confront unwarranted & lawless armed aggression by the Communist Party of #China.
India has made it clear,they will not be bullied by Beijing.
— Marco Rubio (@marcorubio) June 29, 2020
ফ্লোরিডা থেকে রুবিও বলেন, "ভারত এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বেজিং তাদের কখনই দমন করতে পারবে না।" প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আমেরিকার সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেল দ্বিতীয়বারের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের অভিযোগ তোলেন। একদিন আগে সেনেটর টম কটন ভারতকে সমর্থন করে চিনকে কটুক্তি করেন। Read the story in English
বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
হংকং নিরাপত্তা আইন পাস চিনে, ক্ষমতা বৃদ্ধি বেজিংয়ের
ঠিক ২৩ বছর আগে ব্রিটিশ শাসন থেকে চিনা শাসনে ফিরেছিল হংকং।মঙ্গলবার চিনে পাস হল বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন। যদিও সেখানকার একটি স্থানীয় কেবল টিভি নেটওয়ার্ক সূত্রে খবর এই আইনটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস করেছে চিনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি।কিছুটা ক্ষমতা এবং আধিপত্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত চিনের এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কূটনৈতিক মহলের মত আইনটি পাস হওয়ায় চিন তার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির ওপর নতুন ক্ষমতা পেল। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে চিনের শাসনে অন্তর্ভুক্ত হয় হংকং। তখন থেকে হংকং ‘এক দেশ, দুই নীতি’-র আওতায় স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভোগ করে আসছে। এই আইনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশগুলির সঙ্গে ফের সংঘর্ষের বাতাবরণ তৈরি হতে পারে এমনটাই মত ওয়াকিবহল মহলের।
এদিকে এই আইন পাসের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোমবার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আইনের অধীনে হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদা অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করে। এমনকী প্রতিরক্ষা রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। উচ্চ প্রযুক্তির পণ্যগুলির হংকং-এ প্রবেশও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে আইনের খসড়া এখনও প্রকাশিত হয়নি। বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছে বিগত বছরে প্রায়শই হিংস-গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ শুরু হয় হংকং-এ। এই আইনের মাধ্যমে সেই সব বিভ্রান্তি, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং বিদেশী শক্তির সঙ্গে জোট হয়ে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে।
যদিও হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের দাবি, এই আইন অঞ্চলটির রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করবে। হংকংবাসী দীর্ঘদিন ধরে যে স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে আসছে, এই আইন তাকে খর্ব করবে। Read the full story in English
বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফার দাবি উঠল নেপালেই
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির গদি টলমল। নিজের দলেই এবার কোণঠাসা হয়ে পড়লেন ওলি। ওলির পদত্য়াগের দাবি জানিয়েছেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষনেতারাই। উল্লেখ্য়, ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে ওলি দাবি করেছিলেন, নেপালের মানচিত্র ইস্য়ুতে নয়াদিল্লি ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাইছে।
* ভারতের বিরুদ্ধে ওলির এহেন অভিযোগ নিয়ে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
* মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে স্ট্য়ান্ডিং কমিটির বৈঠক হয়।
* এই মন্তব্য়ের জন্য় ওলিকে তিরস্কৃত করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুস্পা কমল দহল (প্রচন্ড)।
* তিনি বলেছেন, ''তাঁকে সরানোর জন্য় ভারত ষড়যন্ত্র করছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ ধরনের মন্তব্য় রাজনৈতিকভাবে ঠিক নয়, কূটনৈতিকভাবে সঙ্গতপূর্ণ নয়''।
* তাঁর আরও মন্তব্য়, ''প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ ধরনের মন্তব্য়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে''। (Read in English)
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন পড়ুন এই প্রতিবেদনে