ভ্যাকসিন ছাড়াই ধীরে ধীরে বিলীন হবে করোনাভাইরাস, এমন মন্তব্য়ই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, ট্রাম্প প্রস্তাবিত অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধেই রায় দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। অন্য়দিকে, লাদাখের গালওয়ান উপত্য়কায় চিনা বাহিনীর হাতে ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের এমনই সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন বিস্তারিত...
ভ্যাকসিন ছাড়াই 'বিলীন' হবে করোনাভাইরাস, বিশ্বাস করেন ট্রাম্প
ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উঠেপড়ে লেগেছে গবেষক মহল। একের পর এক ভ্যাকসিন তৈরিতে মশগুল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। আমেরিকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও অনেকটাই। সেই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন যে ভ্যাকসিন ছাড়াই ধীরে ধীরে বিলীন হবে করোনাভাইরাস।
বুধবার ফক্স নিউজ সংবাদমাধ্যমের এটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, "আমরা ভ্যাকসিনের খুব কাছাকাছি রয়েছি। তবে আমি এটা বলতে চাই না। কিন্তু এটাও ঠিক যে এই ভাইরাস ধীরে ধীরে বিলীন হতে থাকবে। কিন্তু ভ্যাকসিন থাকলে সেটা খুবই ভাল একটি বিষয়। আর সেটাই হবে।"
এখনও পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার জন আক্রান্ত হচ্ছে সেখানে। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৭০০। লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে জনসাধারণের তৎপরতার উপর জোর দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কারণ হিসেবে ট্রাম্পের মত ছিল এর ফলেই ভাইরাসের বিস্তার কমতে পারে মার্কিন মুলুকে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই মন্দায় ডুবিয়েছে মার্কিন মুলুককে এমনটাই মনে করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বিশ্বের অন্যান্য খবর নীচে পড়ুন
ট্রাম্প প্রস্তাবিত অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে রায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের
ডোনাল্ড ট্রাম্প
নির্বাচনের আগে ফের বড় ধাক্কা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রস্তাবিত অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধেই রায় দিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। মার্কিন মুলুকের শীর্ষ আদালত জানায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার তরুণ অভিবাসীদের আইনগত সুরক্ষা দেওয়া বন্ধ করার যে প্রচেষ্টা করেছিল প্রশাসন তা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। আদালত এই অভিবাসীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার যে অনুমোদন রয়েছে তা বহাল রাখছে। যদিও এই সিদ্ধান্ত বাতিলের পর টুইটারে ক্ষেদোক্তি প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "আপনাদেরও কি মনে হচ্ছে যে সুপ্রিম কোর্ট আমাকে পছন্দ করে না?"
প্রসঙ্গত, অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকাকালীন নাগরিকত্বের জন্য প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই সেদেশে ছিলেন সাড়ে ছ'লক্ষ অভিবাসী। বর্তমানে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রেই থাকছেন। ২০১২ সালে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন তাঁদের নাগরিকত্ব না দিলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ও কাজ করার আইনি অনুমতি দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারে এই সব অভিবাসন নীতি বিরুদ্ধ প্রস্তাবকে হাতিয়ার করেই প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচনী প্রচার চালান ট্রাম্প। নির্বাচনের আগে তরুণ অভিবাসীদের জন্য এই আইন বাতিল করে জনগণের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করেছিল বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ফের বড় ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ডিফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল নামে পরিচিত ছিল সেই নীতি। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে যেসব অভিবাসীরা এই আইনে নিবন্ধিত রয়েছেন তাঁদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো হবে না বলেই জানান হয়েছে মার্কিন শীর্ষ আদালতের তরফে। প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস আদালতের পক্ষ থেকে বলেন যে প্রশাসন এই কর্মসূচীটি যথাযথভাবে সম্পূর্ণ করতে পারেনি। তাই এই আইন ঠিক কি ভুল তা নিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।Read the full story in English
লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ আমেরিকার
গালওয়ান সংঘর্ষে কোনও ভারতীয় সেনাকর্মী নিখোঁজ নেই বলে দাবি ভারতীয় সেনার।
ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। লাদাখের গালওয়ান উপত্য়কায় চিনা বাহিনীর হাতে ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্য়ুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য়, সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ২০ জন সেনা কর্মীর। সংঘর্ষে একাধিক চিনা সেনাও নিহত হয়েছে বলে দাবি ভারতীয় সেনার। ৪৫ বছর পরে ভারত-চিন সীমান্তে সংঘর্ষে সেনা মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
* মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও টুইটে লিখেছেন, ''চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করছি। সেনা জওয়ানের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি''।
* গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোটা ঘটনা সম্পর্কে অবগত।
* ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানায় হোয়াইট হাউস। (Read the full story in English)
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে