চিনের বিরোধতায় টাইমস স্কোয়ারে গর্জে উঠলেন ভারতীয়-আমেরিকানরা। এদিকে, যে কোনও মূল্য়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) করা হবে, এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন ইমরান। অন্য়দিকে, দক্ষিণ চিন সাগর দখল নিয়ে তরজা জারি ছিলই। এবার সেই সাগরেই যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। আবার, পরমাণু চুক্তি কিংবা কূটনীতি, দুটির কোনও বিষয় নিয়েই আমেরিকার সঙ্গে বসে কথা বলতে নারাজ উত্তর কোরিয়া। বিশ্বের এমনই সব খবর পড়ে নিন এক এক করে...
চিন বিরোধিতায় গর্জে উঠল টাইমস স্কোয়ার
(চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ)
চিনা আগ্রাসনের প্রতিবাদের স্বর শোনা গেল এবার টাইমস স্কোয়ারে। চিনের বিরোধতায় টাইমস স্কোয়ারে গর্জে উঠলেন ভারতীয়-আমেরিকানরা। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় চলল 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগানও। চিনকে বয়কটের দাবিতে এদিন প্রতিবাদ জানানো হয়।
* নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সিতে বসবাসকারী ভারতীয়রা এদিন বিক্ষোভে শামিল হন।
* 'বয়কট মেড ইন ইন্ডিয়া', 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
* করোনা আবহে মাস্ক পরেই বিক্ষোভে শামিল হন বিক্ষোভকারীরা। (Read in English)
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
বিশ্বের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
'যে কোনও মূল্য়ে সম্পন্ন করা হবে সিপিইসি', বার্তা চিনের 'দোসর' পাক প্রধানমন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ইস্য়ুতে যখন চিনের বিবাদ তুঙ্গে। ঠিক সেই সময়েই চিনের সঙ্গে সুসম্পর্কের সেতু মজবুত করতে এককদম এগোলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যে কোনও মূল্য়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) করা হবে, শুক্রবার এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন ইমরান। ৬০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্প কার্যত দু'দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক।
* সিপিইসি প্রকল্প নিয়ে শুক্রবার এক বৈঠক করেন ইমরান। সেই বৈঠকের পর পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্য়ে এটা দারুণ প্রকল্প, দ্য় ডন সূত্রে খবর।
* এরপরই ইমরান বলেন, ''সরকার এই প্রকল্প যে কোনও মূল্য়ে সম্পন্ন করবে''।
* উল্লেখ্য়, সম্প্রতি সিপিইসি প্রকল্প নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে আলোচনা করেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।
বিশ্বের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
দক্ষিণ চিন সাগরে 'শক্তি প্রদর্শন' মার্কিন যুদ্ধবিমানের
সংঘাত আবহ বজায় রইল বিশ্বে। দক্ষিণ চিন সাগর দখল নিয়ে তরজা জারি ছিলই। এবার সেই সাগরেই যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। তাঁদের তরফে জানান হয় সম্প্রতি চিনের সেনারা এই সাগরেই মহরা চালায়। সেই বিষয়টি নিয়ে পেন্টাগনে বিস্তৃত সমালোচনাও হয়৷ চিনের এই কাজে নিন্দায় মুখর হয় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যগুলিও।
* যদিও এই ঘটনায় একে অন্যকেই দোষারোপ করেছে চিন-আমেরিকা। সম্প্রতি করোনাভাইরাস আবহেই হংকং-নয়া আইন প্রণয়ন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ফের 'ঠান্ডা লড়াই' চলেছিল।
* মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী এবং যুদ্ধবিমান শক্তিপ্রদর্শন করে দক্ষিণ চিন সাগরে।
* সেনার দাবি এই এলাকা সকলের জন্যই খোলা রয়েছে। এটি কোনও দেশের নয়। তাই ভারত-প্রশান্ত এই মহাসাগরে প্রশিক্ষণ চালানো অন্যায় নয় বলেই মনে করেন তারা।
* চিনের তরফে তাদের মহড়ার ঘটনা অস্বীকার করা হয়। শি জিনপিং-এর দেশের মত আমেরিকা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করতেই এমনটা করছে।
* চিনের কাজ নিয়ে সমালোচনা করেছে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপিন্সও।
* দক্ষিণ চিন সাগরে তেলের খনির সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই এই এলাকায় ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোত হয় সবপক্ষই। Read in English
বিশ্বের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
"আমেরিকার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই উত্তর কোরিয়ার"
পরমাণু চুক্তি কিংবা কূটনীতি, দুটির কোনও বিষয় নিয়েই আমেরিকার সঙ্গে বসে কথা বলতে নারাজ উত্তর কোরিয়া।কিম জং-এর দেশ মনে করে মার্কিন মুলুকের সঙ্গে বৈঠক হলে তা একটি 'রাজনৈতিক হাতিয়ার' হিসেবে ব্যবহার করবে ওয়াশিংটন। পড়শি দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় আসছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি। সেই আবহে উত্তর কোরিয়ার এমন মনোভাব বিশেষ বার্তা দিচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
* উত্তর কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সুন হুই বলেন যে কিম জং-এর দেশ তাদের নীতিতে কোনও পরিবর্তন করতে নারাজ।
* দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়েইং-এর কথায় মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উনের একবার সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের প্রয়োজন।
* পরমাণু চুক্তি নিয়ে আরও বিস্তারিত কথাবার্তার প্রয়োজন দুই দেশের এমনটাই মনে করেন মুন জায়েইং।
* ট্রাম্পের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বলটনের অবশ্য মত নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই কিম জংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে 'অক্টোবর সারপ্রাইজ' দিতে পারেন ট্রাম্প।
* ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথমবারের জন্য কিমের সঙ্গে মোলাকাত হয় ট্রাম্পের।
বিশ্বের অন্য়ান্য় গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন নীচে
মার্কিন দূতাবাসে উড়ল 'রামধনু পতাকা', ঠাট্টার সুরে বিঁধলেন পুতিন
এলজিবিটি অধিকারকে সমর্থন করে রাশিয়ার মস্কোতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে উড়ল এলজিবিটির প্রতীক 'রামধনু পতাকা'। গোটা বিষয়টি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিদ্রূপের সুরে বিঁধলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, এই ঘটনা আসলে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত কর্মীদের যৌনতা সম্পর্কিত বিষয়ের প্রতিচ্ছবি।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ায় বিবাহিত বা বিয়ের সংজ্ঞা হিসেবে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে সম্পর্ককেই মান্যতা দেওয়া হয়। সম্প্রতি দেশব্যাপী ভোট গ্রহণের মাধ্যমে এলজিবিটি বিষয়ে সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে বেশকিছু বিষয়কে অন্তর্ভুক্তও করা হয়। পুতিনের সাফ মত এলিজিবিটিদের গর্বিত করতেই এই পতাকা উত্তোলন করে মার্কিন দূতাবাস। তিনি বলেন, "যদিও এটা কোনও বড় বিষয় নয়। এর অর্থ সেখানে কাজ করা লোকদের সম্পর্ককে প্রকাশ করা। আমরা এ নিয়ে বহুবার কথা বলেছি এবং আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি।"
এরপরই প্রধানমন্ত্রী পুতিন জানিয়ে দেন তিনি রাশিয়ার নাগরিকদের চিরকাল এই সকল উদার পাশ্চাত্য মূল্যবোধ থেকে দূরে রাখতে চেয়েছেন এবং রাশিয়ার অর্থডক্স চার্চের ভাবনার সঙ্গেই মেলাতে চেয়েছেন। ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, "হ্যাঁ, আমরা নাবালক-নাবালিকাদের মধ্যে সমকামিতা প্রচার নিষিদ্ধ করার জন্য আইন পাস করেছি। তাতে কী? তারা আগে নিজেরা বড় হয়ে জীবনকে দেখুক আগে। তারপর তো নিজেদের ভাগ্য স্থির করবে।"
উল্লেখ্য, রাশিয়ায় পাস হওয়া এই আইনানুযায়ী সমকামীদের অধিকার মিছিল বন্ধ এবং সমকামী কর্মীদের আটক করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। পুতিনের সাফ মন্তব্য তিনি মা ও বাবার প্রচলিত যে ধারণা রয়েছে তা বদলাতে দেবেন না।
যদিও রাশিয়ার মহিলা ইউনিয়নের প্রধান একাতেরিনা লাখোভা জানান যে পুতিনের এসব বক্তব্যর পর তিনি রামধনু রঙের আইসক্রীম খেতেও ভয় পাচ্ছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত যে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তেমনটাও জানিয়েছেন একাতেরিনা। Read in English
বিশ্বের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়ুন এই প্রতিবেদনে