রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের প্রায় ১৩০০ সেনা নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাশিয়ার সেনারা রণে ভঙ্গ দিয়ে আত্মসমর্পণ করছেন। গতকাল শুক্রবারও ৫০০–৬০০ রুশ সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনজুড়ে সামরিক ঘাঁটিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছেন রুশ সেনারা। জবাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে ইউক্রেন বাহিনী।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দুই দিনের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাঁদের কথায়, প্রতিরোধসহ নানা কৌশলের মাধ্যমে রুশ সেনাদের অগ্রগতি ধীর করে দিতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন বাহিনী।
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের সেনা সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও প্রাণহানি হচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের তথ্য অনুসারে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে অন্তত ১ হাজার ৫৪৬ জন সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ।
এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে রাশিয়া। হামলার ১৩ দিনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭৭৮টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর আগে দেশটির বিরুদ্ধে ২ হাজার ৭৫৪টি নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
আরো পড়ুন: সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম, এক দিনেই ৮১ জনকে মৃত্যুদণ্ড
অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাদের দাবি, গত ১৪ দিনে অন্তত ১২ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ৩৩৫ রুশ ট্যাংক, ১ হাজার ১০৫ সাঁজোয়া গাড়ি, ১২৩ কামান, ২৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪৯টি যুদ্ধবিমান, ৮১ হেলিকপ্টার, ২টি জাহাজ, জ্বালানি পরিবহনকারী ট্যাংক ৬০ হাজার ৫২৬টি যানবাহন, ৮১টি হেলিকপ্টার ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলেনস্কি রাশিয়ান মায়েদের তাদের সন্তানদের ভিনদেশে যুদ্ধে সামিল না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।