Advertisment

শান্তিচুক্তির আড়ালে রণসজ্জায় ইউক্রেন-রাশিয়া, অস্ত্রের পাশাপাশি তুঙ্গে কূটনৈতিক লড়াইও

দেরি করেনি রাশিয়াও। পালটা বিবৃতি জারি করে ছত্রে ছত্রে সমালোচনায় বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এটা আসলে জেলেনস্কিরই কীর্তি। রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে ছোট করতে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করে রাস্তায় ফেলে গিয়েছে জেলেনস্কির সেনা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kremlin

মস্কোয় ক্রেমলিনে পুতিনের কার্যালয়।

ফের যুদ্ধের অশনি সংকেত ইউক্রেনে। এবার যেন তা আরও বড় আকারে হতে চলেছে। এখন চলছে তারই প্রস্তুতি। গত কয়েকদিনে রাশিয়ার হেলিকপ্টার ধ্বংস করার ঘটনা ঘটেছে। আবার রাশিয়ার এলাকায় ইউক্রেনের কপ্টার হানার ঘটনাও সামনে এসেছে। এবার ফের ডনবাসে সেনার সংখ্যার বাড়ানো শুরু করেছে রাশিয়া। তেমনই অভিযোগ করেছে ইউক্রেন প্রশাসন।

Advertisment
publive-image

শুধু তাই নয়, পাশাপাশি চলছে কূটনৈতিক যুদ্ধও। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে দাখিলের জন্য যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন জেলেনস্কি। সোমবার তিনি নিজে বুচা এলাকার রাস্তাঘাট পরিদর্শন করেছেন। এই বুচা এলাকাতেই রাস্তার ওপর পাওযা গিয়েছে ইউক্রেনের সাধারণ নাগরকিদের দেহগুলো। দেরি করেনি রাশিয়াও। পালটা বিবৃতি জারি করে ছত্রে ছত্রে সমালোচনায় বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এটা আসলে জেলেনস্কিরই কীর্তি। রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে ছোট করতে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করে রাস্তায় ফেলে গিয়েছে জেলেনস্কির সেনা। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, তুরস্কে সমঝোতার পরের দিন, ৩০ মার্চ রুশ সেনা বুচা ছেড়ে চলে গেছে। তার পর, ৩১ মার্চ বুচা শহরের মেয়র আনাতোলি ফ্রেডরিক ভিডিওবার্তায় সেকথা জানিয়েছেন। তিনি কাউকে হাত বেঁধে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে বলে সেদিন অভিযোগও করেননি।

publive-image

এসব যুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোটকে চাপে ফেলতে পালটা জোট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে ক্রেমলিন। তারই অঙ্গ হিসেবে ভারতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ভারত বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার থেকে তেল কিনতে রাজি হয়ে যাওযায়, কার্যত গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রাশিয়ার কোনও বিরোধী রইল না। কারণ, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ ভারত এবং চিনের পরামর্শে চলে। চিন রয়েছে রাশিয়ার পাশেই। পাকিস্তানের টালমাটাল পরিস্থিতি। পাকিস্তানের একাংশের ভরসাও চিন। অন্য দেশ মায়ানমারও চিন এবং রাশিয়ার পক্ষে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতপন্থী। তারাও রাশিয়ার পক্ষেই আছে। এই অবস্থায় আরব দুনিয়ার দিকে নজর দিয়েছেন ল্যাভরভ। তিনি মস্কোয় আরব স্টেটস লিগের মহাসচিব আবুল গেটের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাশিয়ার সঙ্গে আরব দুনিয়ার সুসম্পর্কের নজির হিসেবে আরব দুনিয়ার কায়দায় আহমেদ আবুল গেটকে স্বাগত জানিয়েছেন ল্যাভরভ।

Read story in English

Russia-Ukraine Conflict
Advertisment