২৫ দিনের সংঘর্ষে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। তার মধ্যেই সাধ্য অনুযায়ী পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনও। যদিও এই হামলা, পাল্টা হামলায় কোনও পক্ষেরই লাভ নেই বলে মনে করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফল্টে তিনি হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছেন, যুদ্ধে আক্রমণকারী রাশিয়ারও ক্ষতি কম হচ্ছে না, যা পূরণে রুশদের কয়েক প্রজন্ম কেটে যাবে। ফলে মস্কোর সঙ্গে ব্যাপক শান্তি আলোচনার আহ্বান জানিয়েন জেলেনস্কি।
প্রেসিডেন্টের মতে, শান্তির লক্ষ্যে সবসময়ই সমাধানে আগ্রহী ইউক্রেন। শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ইউক্রেন অবিলম্বে অর্থবহ এবং সৎ রফার পক্ষে বলে দাবি ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন যে, 'আমি চাই আমার কথা সবাই শুনুক, বিশেষ করে মস্কো। এখন বৈঠকের সময় এসেছে, কথা বলা প্রয়োজন। ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারের সময় এসেছে। অন্যথায়, রাশিয়ার ক্ষতি এমন হবে যে সেটির পুনরুদ্ধারে কয়েক প্রজন্ম সময় লাগবে।'
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রথম আগ্রাসন চালিয়েছিল রাশিয়া। সেই থেকে হামলা জারি রয়েছে। বহু ইউক্রেনীয় যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। অধিকাংশ দেশ ছেড়েছেন। আর যাঁরা আছেন, তাঁরা খুব কাছ থেকে যুদ্ধের বীভৎসতা উপোলব্ধি করছেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমি দুনিয়া। অবিলম্বে রাশিয়াকে হামলা থেকে বিরত হওয়ার দাবি করেছে তারা। কিন্তু যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষ্ণ নেই।
যদিও সমাধান খুঁজতে গত দু'সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছিলেন। কিন্তু রফাসূত্রে বেরোয়নি। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের দাবি, 'রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বিধ্বস্ত শহরগুলিতে মানবিক সরবরাহে বাঁধা দিচ্ছে। এটা একটা ইচ্ছাকৃত কৌশল। এটি একটি যুদ্ধাপরাধ। এর জবাব ওদের দিতে হবে।'
গত বুধবার মারিউপোল শহরের একটি থিয়েটারে গোলা বর্ষণ করেছে রুশ সেনা। ওই থিয়েটারেই কয়েকশ লোক আশ্রয় নিয়েছিলেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন যে, ওই হামলায় কতজনের মৃত্যু হয়েছিল তার কোনও সংখ্যা মেলেনি। তবে, ১৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
Read in English