রাশিয়া বারবার দাবি করছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। এবার ফের রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয় জেলেনস্কি কিয়েভে নয় পোলাণ্ডে রয়েছেন। এই খবর প্রকাশ করা হয় একাধিক রুশ সংবাদ মাধ্যমেও। তবে কী সত্যি দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট? এই জল্পনার মধ্যেই , জেলেনস্কি একটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেখানে তিনি বলেন, 'তিনি কোথাও যাননি, কিয়েভেই আছেন'। রাশিয়ার দাবি উড়িয়ে গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি কিয়েভে আছি। আমি এখানে থেকেই কাজ করছি। কোথাও পালিয়ে যায়নি।” সেই সঙ্গে তিনি পোস্টে তাঁর অফিস ক্যামেরা প্যান করে দেখান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিতই তাঁর অবস্থান জানাচ্ছেন। নতুন ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, তিনি রাজধানী কিয়েভেই আছেন, লড়াই করছেন। নিজের অবস্থানের প্রমাণ দিতে ফের তিনি একটি পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গতকালের ওই ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘ আমি এখানেই আছি। আমরা আমাদের অস্ত্র ফেলে দেব না। আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করব, কারণ, আমাদের কাছে এখন আমাদের অস্ত্রই সত্য। একই সঙ্গে আমাদের ভূমি, আমাদের দেশ ও আমাদের সন্তান সত্য এবং আমরা এগুলোর সবকিছুকেই রক্ষা করব।’
জেলেনস্কি রাশিয়ান আক্রমণের মধ্যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বের কাছে সোচ্চার হয়েছেন, ভিডিও এবং টুইটের মাধ্যমে ক্রমাগত বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন।
শুক্রবার, তিনি ইউক্রেনের উপর নো-ফ্লাই জোন আরোপ করতে অস্বীকার করার জন্য ন্যাটোর সমালোচনা করেছিলেন, বলেছিলেন যে এটি রাশিয়ার হাত পুরোপুরি খুলে দেবে কারণ এটি আকাশপথে আক্রমণের সম্ভবনা অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) NATO-র কাছে আবেদন করেন যাতে ইউক্রেনের আকাশকে নো-ফ্লাই জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেই প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করেছে NATO এর পরেই উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থাকে (NATO) নিন্দা করেছেন তিনি।
একটি টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, NATO-র সিদ্ধান্ত রাশিয়াকে "ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে আরও বোমা হামলার জন্য সবুজ সঙ্কেত" দিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, "আজ NATO-র একটি শীর্ষ সম্মেলন ছিল, একটি দুর্বল শীর্ষ সম্মেলন, একটি বিভ্রান্ত শীর্ষ সম্মেলন, একটি শীর্ষ সম্মেলন যেখানে এটি পরিষ্কার ছিল যে সবাই ইউরোপের স্বাধীনতার লড়াইকে এক নম্বর লক্ষ্য বলে মনে করে না।"
রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি যোগ করেছেন, "আজ, জোটের নেতৃত্ব ইউক্রেনের শহর ও গ্রামে আরও বোমা হামলার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে, কারণ তারা নো-ফ্লাই জোন স্থাপন করতে অস্বীকার করেছে।"