দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রবিবার সন্ধ্যায় ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসার আগুন। যার ফলে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন ছাত্র সংসদ সভাপতি ঐশী ঘোষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিদের বয়ান অনুসারে হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল প্রায় ১০০ জন। এরা মূলত বহিরাগত এবং এবিভিপি কর্মী বলে অভিযোগ।
তাদের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
এক ব্যক্তি মেসেজে লিখেছেন, "একদম! একবার তো এসপার নয়তো ওসপার করতে হবেই। এখনই যদি ওদের না মারি তাহলে আর কবে?"
আলিগড় থেকে পুনের ফিল্ম ইন্সটিটিউট, মুম্বাই থেকে কলকাতা, জেএনইউএর তাণ্ডবের প্রতিবাদে সোচ্চার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও।
শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের তরফে ফোন পাওয়ার পরেও কীভাবে গোটা ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল পুলিশ? প্রশ্ন উঠছে সেখানেই।
অপর্ণা সেন বলেছেন, ''এই মুখোশধারী গুণ্ডারা কারা? এটা কী গুণ্ডারাজ চলছে?'' অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের টুইট, ''এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।"
এক বিবৃতিতে JNUSU দাবি করে, হামলার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP), এবং পড়ুয়াদের পাশাপাশি হামলার নিশানা ছিলেন বেশ কিছু প্রফেসরও।
স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ডিন অশ্বিনী কে মহাপাত্র জানান যে এই সিদ্ধান্তটি সব আধিকারিক, ডিনদের সঙ্গে কথা বলে এবং 'বিশেষ পরিস্থিতি'র কারণেই নেওয়া হয়েছে।
প্রবল বিরোধিতার মাঝেই হস্টেল ফি পর্যালোচনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তাদের সুপারিশে দু'ক্ষেপে প্রায় ৭৫ শতাংশ ফি কমানো হয়েছে বলে জানায় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের উপর পুলিশ আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ জেএনইউ ছাত্র সংসদের। আন্দোলনের কারণে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে ও বহু পড়ুয়া আহত বলে দাবি তাদের।
বিশ্বদ্যালয়ে ভাঙচুর চালানো ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে আন্দোলনকারী ১০ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে।
'আমাদের অত্যন্ত লজ্জার দিন', জেএনইউ-তে বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে মাসিক ফি ২০ টাকা এবং ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে যথাক্রমে ৬০০ ও ৩০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
জেএনইউএসইউ-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রাম নাগ বলছেন, এর আগেও ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু ইউনিয়নের চাপে তা আর এগোতে পারে নি। যদিও এই হারে ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয় নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
একটা ভোট নিলে হয় না? ইস্যু হবে, ভগবান আছেন না কি নেই? শুধু ভারতবর্ষ কেন? পুঁজিবাদের স্বর্গরাজ্যে ভোট নিলেও সেই ভোটে কারা জিতবে বলে মনে হয়?
আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে, এমন একটা মুহূর্তে দাঁড়িয়ে রয়েছি, যখন আমাদের চিন্তাবিরোধী, বিদ্দ্বজ্জনবিরোধী, অ্যাকাডেমিক বিরোধী হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।