শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল শোচনীয় পারফরম্যান্স মেলে ধরছে। আত্মবিশ্বাস তলানিতে। খেলতে নামলেই অবধারিত হার! পরপর হেরে অবনমন-আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে শতবর্ষের মরশুমে।
আলেয়ান্দ্রো যেদিন পদত্যাগ করেন, সেদিনই কোয়েসের তরফে লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সিইও সুব্রত নাগ। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
লাল-হলুদের কোচের পদের দায়িত্ব নেওয়ার 'অফিসিয়াল' সইসাবুদের কাজ শেষ ইতিমধ্যেই, ইস্টবেঙ্গল সূত্রে এমনটাই খবর।
এদিন সল্টলেকের নিজস্ব বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়েন হঠাৎ। তারপরেই তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্নায়ু বিশেষজ্ঞ সুনন্দন বসুর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
প্রথম মরশুমে কোচ হিসেবে সমর্থকদের মন জয় করে নিলেও চলতি মরশুমে একদমই ফর্মে ছিল না ক্লাব। ডার্বি নিয়ে টানা তিনটে ম্যাচ হারতে হয়েছে।
টানা দু-ম্যাচ হেরে ইস্টবেঙ্গল ডার্বিতে খেলতে নামছে। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা মোহনবাগানের বিপক্ষে হারলে আরও তলানিতে পৌঁছে যাবে লাল-হলুদ। ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর জন্য কোচ আলেয়ান্দ্রো পাখির চোখ করছেন ডার্বি-জয়কেই।
ম্যাচের আগেই বাগান কোচ জানিয়েছিলেন, অভিজ্ঞতা না থাকলেও ইন্ডিয়ান অ্যারোজের ছেলেরা তাঁর দলকে বেগ দিতে পারে। গতিতে পাল্লা দিতে পারে অ্যারোজ ছেলেরা।
নতুন রিক্রুট বাবা দিওয়ারাকে এদিন প্রথম একাদশে রেখে দল সাজিয়েছিলেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ। ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ধনচন্দ্র সিং-কেও। যিনি সাসপেন্ড ছিলেন।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে মাঠে হঠাৎ পড়ে যান তিনি। তারপরেই নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ষীয়ান ডিফেন্ডারকে। সেখানেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু ঘটেছে তাঁর।
পাঁচ বিদেশিকে নিয়েই দল সাজিয়েছিলেন আলেহান্দ্রো। মার্তি ক্রেসপির সঙ্গে মেহতাব সিংকে সেন্ট্রাল ডিফেন্সে জুড়ে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ। দুই সাইড ব্যাক পজিশনে রাখা হয়েছিল কমলপ্রীত ও অভিষেক আম্বেকরকে।
রিয়াল কাশ্মীরের হয়ে এবারেও ফুল ফোটাতে পারেন কোচ ডেভিড রবার্টসনের পুত্র ম্যাসন রবার্টসন। যেকোনও পজিশনে খেলতে দক্ষ ম্যাসন। গতবার বেশ কিছু ম্যাচ তিনি একাই কাশ্মীরকে জিতিয়েছিলেন।
আইজলেও নতুনের ছোঁয়া। গত মরশুমে আইজল সপ্তম স্থানে ফিনিশ করেছিল। ঘুরে দাঁড়াতে অবশ্য বিদেশি কোচ নয়। দেশি কোচ হিসেবে স্ট্যানলি রোজারিওর উপরে আস্থা রেখেছে পাহাড়ি ক্লাবটি।
ক্লাবের পরিকাঠামোগত উন্নতির পথে অন্তরায় প্রতিটি মুহূর্তে সেনাবাহিনীর নির্দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা। ঋতব্রত আর্জি জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর কাছ থেকে মালিকানাধীন তুলে নিয়ে ক্লাবের সম্পত্তি যেন ক্লাবের দায়িত্বেই দেওয়া হয়।
ম্যাচের একাদশ থেকে পাঁচটা পরিবর্তন ঘটিয়ে এদিন দল সাজিয়েছিলেন কোচ কিবু ভিকুনা। ব্যাপক পরিবর্তন বৃথা যায়নি। দুই অর্ধে ড্যানিয়েল সাইরাস এবং সালভা চামোরো গোল করে মোহনবাগানের এদিন জয় নিশ্চিত করেন।
পিয়ারলেসের কাছে এবার আটকে গিয়েছেন দুই প্রধানের দুই স্প্যানিশ কোচ। কিবু ভিকুনার মোহনবাগান যেমন টুর্নামেন্ট শুরুর ম্যাচেই ক্রোমার জোড়া গোলে বিধ্বস্ত হয়েছেন, তেমন আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজের ইস্টবেঙ্গলকে থামিয়ে দিয়েছে পিয়ারলেস।
কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও লাল-হলুদ গ্যালারিতে প্রিয় দলের শেষ খেলা দেখতে হাজির শয়ে শয়ে সমর্থক। প্রিয় দলের ফেস্টুন, ব্যানার, টিফো নিয়ে হাজির। তবে ম্যাচের শুরুতেই বিপত্তি।
মোহনবাগানের সামনে আবার অল্প হলেও সুযোগ ছিল লিগ জেতার। সেক্ষেত্রে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল স্পষ্ট। ইস্টবেঙ্গল এবং পিয়ারলেস দু-দলকেই হারতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মোহনবাগানকে জিততে হত ২-০ গোলের ব্যবধানে।
