কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীও একই অভিযোগ করেছিলেন।
সেই মহিলা যে শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায় তা সবারই জানা।
প্রয়োজনে তাঁর মুখোমুখি বসিয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে জেরার দাবি করেছেন কুণাল।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিলেন, 'বাংলার ক্ষতায় আর তৃণমূল ফিরবেন না।' তৃণমূলকে তোপ দেগে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান, ' শপথ নিয়েছি সদ্য, ঘরে ঘরে পদ্ম।'
যদিও গত সোমবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার মিছিল থেকে নিজেদের দূরত্বে রেখেছেন দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা।
শোনা গিয়েছিল, গোঁসার কারণে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিলে যেতে আপত্তি করেন। বান্ধবীর জন্য রাস্তায় নামেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।
বিজেপি নেতার বাড়িতে এ দিন তৃণমূল বিধায়কের আচমকা উপস্থিতি ঘিরে নানা রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছে।
দলীয় কার্যালয়ে কাগজে লেখা শোভন-বৈশাখীর নেম প্লেট ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে দলে শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
দলে পদ পেলেও পূর্ব ঘোষিত দলীয় কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত পথে নামলেন না শোভন-বৈশাখী।
এই প্রথম তাঁদের নেতৃত্বে কলকাতার রাজপথে নামছে বিজেপি। সোমবার বিকেল তিনটেয় আলিপুর থেকে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত বাইক মিছিল করবে বিজেপি।
গত নভেম্বরে রাজ্যে এসে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
"আমার উপাধি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই হয়তো এমন কথা বলার সাহস হল। খাতুন হলে বলতে পারতেন! তখন তো ভোটব্যাঙ্কের চিন্তা ঘুরত মাথায়।"
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, রবিবার সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির থাকার জন্য বৈশাখীর মোবাইল ফোনে ফোন করে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
বঙ্গ বিজেপিতে ফের সক্রিয় হচ্ছেন শোভন-বৈশাখী? তুঙ্গে জল্পনা।