Advertisment

শিক্ষাখাতে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য বরাদ্দ কমল বাজেটে

বাজেটে এসসি এসটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে বরাদ্দে রাশ টানলেন অর্থমন্ত্রী। পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশীপ, স্কলারশীপ খাতে বরাদ্দ ছাঁটাই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমানো হল। বাজেটে এসসি, এসটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে বরাদ্দে রাশ টানলেন অর্থমন্ত্রী। মাধ্যমিক পরবর্তী এসসি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তিমূল্যের পরিমাণ তিন হাজার কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২৯২৬ কোটি টাকা করা হল বাজেটে। দলিত আর্থিক অধিকার আন্দোলনের এক সদস্য বলেন, "এবারের সংশোধিত বাজেট ২০১৮-১৯ এ দলিত এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য শিক্ষাখাতে অর্থবরাদ্দের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা, তার মধ্যে ছিল কিছু অপ্রকাশিত স্কলারশিপের অর্থও। কিন্তু এবারের বাজেটে সেইসব তো পাওয়া গেলই না উলটে আরও বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল"। একইরকম ভাবে, এসটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাধ্যমিকের পরবর্তী স্কলারশিপের অর্থের পরিমাণ ১৬৪৩ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৬১৩ কোটি টাকা করা হয়েছে ২০১৮-১৯ এর সংশোধিত বাজেটে।

Advertisment

আরও পড়ুন, কর্নাটকে ফের সঙ্কটে কুমারস্বামী সরকার, ইস্তফা ১১ বিধায়কের

এবারের বাজেটে অপর একটি বিষয়ও লক্ষ্য করেছেন দেশের অর্থনৈতিক মহল। ২০১৪-১৫ বর্ষ থেকেই পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ, স্কলারশিপ খাতে বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের পরিমাণ জারি ছিল। পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ এবং পিএইচডিরত এসসি ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৬০২ কোটি টাকা কমিয়ে ২৮৩ কোটি টাকা করা হয় ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এবং এসটি ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৪৩৯ কোটি টাকা থেকে ১৩৫ কোটি টাকা করা হয়। এমনকি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এসসি,এসটিদের জন্য ইউজিসি শিক্ষাখাতে অর্থ সাহায্য কমানো হল ২৩ শতাংশ এবং ইগনুতে ৫০ শতাংশ কমানো হল। গত বছরের তুলনায় সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ "উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস" হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। একইভাবে তপসিলি জাতি উন্নয়ন ও গ্রামীণ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হ্রাস করা হয়েছে৷ স্যানিটেশন খাতে বরাদ্দ কমিয়েছে মোদী সরকার, বরাদ্দ কমিয়েছে পানীয় জল প্রকল্পেও ৷

আরও পড়ুন, ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যে ‘পেশাদারী দুঃখবাদীদের’ একহাত নিলেন মোদী

দলিত আর্থিক অধিকার আন্দোলনের সদস্যা বীণা পল্লিকাল বলেন, "আমরা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে বাজেট তৈরির আগেই কথা বলেছিলাম"। ন্যাশনাল ক্যাম্পেন অন দলিত হিউম্যান রাইট (এন সি ডি এইচ আর ) দলিত এবং আদিবাসী মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়া উচিত বলে মনে করে। কারণ নির্যাতন আইনের বিধানে এটি বরাদ্দ আছে দলিত এবং আদিবাসী মহিলাদের জন্য। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাজেটে মাত্র ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয় তাঁদের সুরক্ষার জন্য। বীণা পল্লিকালের বক্তব্য, " অর্থমন্ত্রীর কথা মতো 'নারী তু নারায়ণী' রূপে নারীকে পূজার আসনে চাই না। যেটা চাই তা হল নারীর সম্মান রক্ষার জন্য কড়া পদক্ষেপ"। এমনকি ২০১৭ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ডেটা অনুযায়ী যেসব দলিত এবং আদিবাসী নারী নির্যাতন অপরাধের তথ্য আছে তা প্রকাশের দাবিও করেন তিনি।

Read the full story in English

Union Budget 2024
Advertisment