Budget 2024: আজ থেকে থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। আয়করে পেতে পারেন এই ৫টি বড় ছাড়, জেনে নিন কী কী সুবিধা হতে পারে আপনার?
মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৩ জুলাই সংসদে সপ্তম বারের জন্য বাজেট পেশ করতে চলেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এবারের বাজেট থেকে করদাতাদের প্রত্যাশা অনেক। বাজেটে করদাতাদের অনেক ধরনের ত্রাণ দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের । কর ছাড় থেকে আয়কর স্ল্যাব পর্যন্ত আনা হতে পারে পরিবর্তন। নতুন কর ব্যবস্থায় কিছু অতিরিক্ত ছাড়ও দেওয়া যেতে পারে। অনেকেই দাবি করছেন, এবারের বাজেটে আয়করের ধারা 80C-তে দেওয়া ছাড়ের সীমা কিছুটা বাড়াতে পারে কেন্দ্র। ট্যাক্স স্ল্যাবেও আনা হতে পারে কিছু বদল।
১. ৮০সি এর অধীনে কড় ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি
অনেক করদাতা আয়করের ধারা 80C-এর অধীনে ছাড় বাড়ানোর দাবি করছেন। বর্তমানে, এই বিভাগের অধীনে সর্বাধিক ১.৫০ লক্ষ টাকা ছাড় পাওয়া যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে তা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা যেতে পারে। প্রত্যাশা মত এমন ঘোষণা করা হলে করদাতাদের অনেকটাই স্বস্তি মিলবে।
২. স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা বাড়তে পারে
এবার বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বাড়ানো হতে পারে বলে আশা বিশেষজ্ঞ মহলের। বর্তমানে, নতুন এবং পুরানো উভয় সিস্টেমেই ৫০ হাজার টাকার একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। তা বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হত পারে।
৩. মৌলিক ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি
মৌলিক ছাড়ের সীমা নতুন এবং পুরনো উভয় সিস্টেমেই বাড়ানো যেতে পারে। বর্তমানে, মৌলিক ছাড়ের সীমা নতুন সিস্টেমের অধীনে ৩ লক্ষ টাকা এবং পুরানো সিস্টেমের অধীনে ২.৫০ লক্ষ টাকা। উভয় ক্ষেত্রেই সেই পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি এমন হয় তাহলে যাদের বার্ষিক আয় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত তাদের কোনো কর দিতে হবে না।
আরও পড়ুন - < Parliament Budget Session 2024: তৃতীয় মেয়াদের মোদী সরকারের পূর্ণ বাজেট, মোরারজি দেশাইয়ের রেকর্ড ভাঙার পথে সীতারমন >
৪. নতুন কর ব্যবস্থার স্ল্যাব পরিবর্তন
অনেক করদাতা মনে করেন যে নতুন কর ব্যবস্থায় আরও বেশ কিছু স্ল্যাব রয়েছে। সেগুলিতেও কিছু বদল আনা প্রয়োজন। একই সময়ে, অনেকে মনে করেন যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ স্ল্যাবের মধ্যে ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত ট্যাক্স স্ল্যাব থাকা উচিত। এই ট্যাক্স স্ল্যাব ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে হওয়া উচিত। এতে করের বোঝা কমবে। এমন পরিস্থিতিতে ট্যাক্স স্ল্যাবে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বাজেট থেকে ট্যাক্স স্ল্যাবে কিছু পরিবর্তন আশা করছেন বেতনভোগী শ্রেণী। নতুন কর ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ কর ২৫ শতাংশ, যা সরকার পুরনো ব্যবস্থার জন্যও চালু করতে পারে।
৫.নতুন সিস্টেমে এইচআরএ বা হোম লোন কাটানোর সুবিধা
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যাবে নতুন কর ব্যবস্থায়। তার মধ্যে একটি হল নতুন ব্যবস্থায় এইচআরএ বা হোম লোনের সুদ কাটানোর সুবিধা দেওয়া আনা যেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, অনেক করদাতা নতুন কর ব্যবস্থায় স্যুইচ করতে পারছেন না কারণ তারা গৃহঋণ এবং অন্যান্য সঞ্চয় সংক্রান্ত সুবিধাগুলি পান না। এবারের বাজেট HRA বা হোম লোনের সুদের উপর সুবিধা প্রদান করা হতে পারে।
বেতনভোগী শ্রেণিও পুরনো কর ব্যবস্থায় পরিবর্তনের আশা করছে। কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হতে পারে। করের বোঝা কমাতে এই পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
80C এর অধীনে সর্বাধিক কর ছাড়
বর্তমানে আয়করের ধারা 80C-এর অধীনে সর্বাধিক কর ছাড় হল ১.৫ লক্ষ টাকা। ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে এর কোন পরিবর্তন হয়নি। আশা করা হচ্ছে সরকার তা বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করতে পারে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বাজেটে মহিলা, কৃষক এবং গ্রামীণ অঞ্চলের উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হতে পারে। কর্মচারী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ প্রতিটি শ্রেণির মানুষ বাজেট থেকে স্বস্তির আশা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তৃতীয় মেয়াদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সরকার নারী, কৃষক ও তরুণদের জন্য আনতে পারে বড় চমক। যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ আনতে পারে।
এর বাইরে, এই বাজেটে ধারা 80C-তে পরিবর্তন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আয়করের ধারা 80C-এর অধীনে, আপনি সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, EPF, PPF, জাতীয় সঞ্চয় শংসাপত্র, ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম, জাতীয় পেনশন সিস্টেম ইত্যাদির মতো স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করে 1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা পান৷ এবারের বাজেটে সরকার এই ছাড় বাড়িয়ে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করতে পারে। এতে দেশের কোটি কোটি করদাতা উপকৃত হবেন। গত কয়েক বছর ধরে আয়কর আইন 80C-তে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এছাড়াও, ধারা 80D এর অধীনে স্বাস্থ্য বীমা প্রিমিয়ামের উপর কর ছাড় দ্বিগুণ করা হতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে 80D-তে কোনো পরিবর্তন হয়নি।