দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট হচ্ছে শুক্র এবং শনিবার। আজ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন। সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস-সহ একাধিক দাবিতে আইবিএ-র সঙ্গে আলোচনার পর ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল চলতি মাসের মাঝামাঝি। শুক্রবার সকাল থেকেই সেই মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গেটে তালা ঝুলতে দেখা গিয়েছে। দেশজুড়ে দু'দিন ব্যাপী ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
গত ১৫ জানুয়ারি ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৩০ জানুয়ারি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আইবিএ-র সঙ্গে বৈঠক হলেও আলোচনায় সুরাহা মেলেনি কোনও, জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন-এর সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত।
স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএম এর সামনে মানুষের লম্বা লাইন। ছবি-পার্থ পাল
আরও পড়ুন, বাজেট প্রাক্কালে সুখবর, ৬.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস অর্থনৈতিক সমীক্ষায়
বাংলায় অবশ্য টানা দু'দিন নয়, চার দিন বন্ধ থাকছে ব্যাঙ্ক। গত বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ছুটি ছিল ব্যাঙ্ক। শুক্র শনি ধর্মঘটের পর রবিবারও ছুটির দিন। পরবর্তী কাজের দিন বলতে সোমবার।
মূলত, বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস ও সপ্তাহে ৫দিন কাজের দাবিতে ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স-এর তরফে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ অল ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন (এআইবিওসি) -এর তরফে সৌম্য দত্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন, “মার্চের তিনদিন ১১, ১২ ও ১৩ মার্চ অবস্থান বিক্ষোভ করবে ব্যাঙ্ক কর্মীরা ৷ দাবি মানা না হলে ১ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট হবে”।
ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্স-এর তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ১২ দফা দাবীর উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন, ফিক্সড ডিপোজিটে ফের সুদের হার কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক
ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের নির্দেশিকা (প্রথম পৃষ্ঠা)সর্বভারতীয় ধর্মঘটের নির্দেশিকা
লাগাতার চারদিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার ফলে প্রভাব পড়তে পারে আটিএম পরিষেবাতেও।