বাজার নেই, এবার অশোক লেল্যান্ড কারখানায় কর্মবিরতি

গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ক্রমাগত চলতে থাকা মন্দার ফলে উৎপাদন কমানোর এবং সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে একাধিক গাড়ি এবং যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা।

গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ক্রমাগত চলতে থাকা মন্দার ফলে উৎপাদন কমানোর এবং সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে একাধিক গাড়ি এবং যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ashok leyland stops production

ছবি: অশোক লেল্যান্ডের ওয়েবসাইট থেকে

ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকা চাহিদার জেরে তাদের বিভিন্ন কারখানায় কর্মবিরতির কর্মসূচি নিতে চলেছে হিন্দুজা গ্রুপের অন্যতম প্রধান কোম্পানি অশোক লেল্যান্ড। সোমবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত করা একটি তালিকা-সহ এক বিবৃতিতে কোম্পানি জানিয়েছে, "আমাদের উৎপাদিত প্রোডাক্টের চাহিদা ক্রমাগত কমতে থাকার ফলে সেপ্টেম্বর ২০১৯-এর এই দিনগুলি আমাদের বিভিন্ন কারখানায় 'নন-ওয়ার্কিং ডে' ঘোষিত হচ্ছে।"

Advertisment

গাড়ি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ক্রমাগত চলতে থাকা মন্দার ফলে উৎপাদন কমানোর এবং সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে একাধিক গাড়ি এবং যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থা।

সেইমতোই চেন্নাইয়ে অবস্থিত অশোক লেল্যান্ডের সদর দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, তামিল নাড়ুর এন্নোর এবং হোসুর কারখানায় যথাক্রমে ১৬ দিন এবং ৫ দিন কাজ হবে না, আলওয়ার (রাজস্থান) এবং ভান্ডারা (মহারাষ্ট্র) কারখানায় ১০ দিন করে কাজ হবে না, এবং পন্তনগর (উত্তরাখণ্ড) কারখানায় ১৮ দিন কাজ হবে না।

Advertisment

অগাস্ট মাসে একইরকম ভাবে চলতি অর্থনৈতিক মন্দার চাপে কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করে চেন্নাইয়েরই টিভিএস গ্রুপের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সুন্দরম ক্লেটন, ভারতের অন্যতম প্রধান গাড়ি প্রস্তুতকারক মারুতি সুজুকি, এবং মোটরবাইক বাজারের শীর্ষস্থানীয় নাম হিরো মোটোকর্প। বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় সাময়িকভাবে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ রেখেছে টাটা মোটরস এবং মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা।

সোমবার প্রকাশিত অশোক লেল্যান্ডের বিক্রির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দশ মাস ধরে ক্রমাগত পড়ার পর গত বছরের অগাস্টের তুলনায় এবছর অগাস্ট মাসে প্যাসেঞ্জার গাড়ির বিক্রি ৩১.৫৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে স্রেফ ১৯৬,৫২৪ টি গাড়িতে। প্রায় দুই দশক আগে, ১৯৯৭-৯৮ সাল থেকে বিক্রির পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করতে শুরু করে সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স। সেই তথ্য বলছে, আজ পর্যন্ত এত কম বিক্রির নজির নেই অশোক লেল্যান্ডের।

উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে খুচরো (রিটেইল) বিক্রিও, যার ফলে স্টক জমছে ডিলারদের কাছে। অতএব কোম্পানির কাছ থেকে আর মাল নিতে পারছেন না তাঁরা। এই অবস্থায় উৎপাদন কমানো এবং কারখানা বন্ধ রাখা ছাড়া সংস্থার আর কোনও উপায় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

সোমবার সন্ধ্যায় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত অশোক লেল্যান্ডের শেয়ার পিছু দাম ছিল ৬৩.০৫ টাকা, যা তার আগের দিন এক্সচেঞ্জ বন্ধ হওয়ার সময়ের তুলনায় ১.৩৩ শতাংশ কম।