/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/16/axis-bank-2025-10-16-12-17-23.jpg)
Axis Bank: অ্যাক্সিস ব্যাংক।
Axis bank share price: আজ বৃহস্পতিবার Axis Bank-এর শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। দ্বিতীয় (Q2) বা জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশের পর এই দাম বাড়ল। বেসরকারি ব্যাংকটি জানিয়েছে, তাদের নিট মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ কমে ৫,০৯০ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু, ব্যাংকের মূল ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতা একইরকম আছে। আর, সম্পদের গুণমান (asset quality) আরও বেড়েছে। আর, তাতেই ঘটল কামাল।
বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই Axis Bank-এর শেয়ার ১,২১৬.৯ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। যা আগের দিনে ১,১৭২.৫ টাকায় ক্লোজিং হয়েছিল। ফলে শেয়ারের দাম প্রায় ৪৫ টাকা বাড়ল। বিশ্লেষকদের মতে, এই বৃদ্ধিই প্রমাণ করে যে বিনিয়োগকারীরা এখনও ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি অগ্রগতির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন- পারসিস্টেন্ট সিস্টেমসের ২য় ত্রৈমাসিকেও দুর্দান্ত ফল, আশায় বিনিয়োগকারীরা
আয় ও মুনাফার বিশ্লেষণ
নিট মুনাফা কমলেও Axis Bank জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের মোট আয় বেড়ে ৩৭,৫৯৫ কোটি টাকা হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ১% বেশি। Net Interest Income (NII) বা সুদ থেকে আয় হয়েছে ১৩,৭৪৫ কোটি টাকা। যা বেড়েছে। তবে Net Interest Margin (NIM) কিছুটা নেমে এসেছে ৩.৭৩%-এ। এটা আগের ত্রৈমাসিকে ছিল ৩.৮%। আর, একবছর আগে ছিল ৩.৯৯%।
আরও পড়ুন- ড্রোনের সাহায্যে মেল ডেলিভারি, এবার বিরাট পদক্ষেপের পথে ইন্ডিয়া পোস্ট
ব্যাংকের CFO পুনীত শর্মা জানিয়েছেন, এই ত্রৈমাসিকে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ক্ষতির জন্য আগে থেকে আলাদা করে রাখা টাকা বা প্রভিশন ৬১% বেড়ে ৩,৫৪৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১,২৩১ কোটি টাকার এককালীন প্রভিশন, যা বন্ধ হয়ে যাওয়া ফসল ঋণ (crop loan) প্রোডাক্টের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানান, বর্তমান ঋণগুলি পুরোপুরি সুরক্ষিত এবং ২০২৮ অর্থবর্ষের মধ্যে এই প্রভিশন ফেরত আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দীপাবলির আগে ভারতে রূপার দামে ব্যাপক উত্থান, নতুন রেকর্ড ছুঁল MCX Silver ও Gold
Axis Bank এই ত্রৈমাসিকে ৩,৫৪৭ কোটি টাকা প্রভিশন করেছে। যার মধ্যে ১,২৩১ কোটি টাকা হল এককালীন (one-time) প্রভিশন। এই টাকা রাখা হয়েছে কিছু পুরোনো ফসল ঋণ (crop loan) সংক্রান্ত ঝুঁকি সামলাতে। এই ঋণগুলো পুরোপুরি সুরক্ষিত বলেই ব্যাংক জানিয়েছে। অর্থাৎ, এখন তারা নিরাপত্তার জন্য এই টাকা আলাদা রেখেছে। ভবিষ্যতে যদি কোনও ক্ষতি না হয়, ২০২৮ অর্থবর্ষের মধ্যে এই প্রভিশন ফেরত (write-back) আসবে বলেই ব্যাংককর্তা আশাবাদী।
আরও পড়ুন- বিনিয়োগকারীরা চরম আতঙ্কে! বিদেশ মন্ত্রক কী বিশেষ সিদ্ধান্ত নিল?
এই প্রভিশনের কারণে এক্সিস ব্যাংকের একদিক থেকে সুবিধাই করছে। সেটা হল- ব্যাংক যখন প্রভিশন করে, তখন লাভ (Profit) কমে যায়, কারণ সেই টাকা আগাম খরচ ধরা হয়। কিন্তু, এতে ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতা (Stability) বাড়ে, কারণ ভবিষ্যতের ঝুঁকি কভার করা থাকে।