করোনার প্রভাব ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে দেশের শেয়ার বাজারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ধস নেমেছে সেনসেক্স এবং নিফটিতে। এ দিন ২৯১৯ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। ২০০৮ সালের পর এই প্রথম এত বড় পতনের সাক্ষী থাকল দেশের শেয়ার বাজার।
Advertisment
জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জে নিফটির পতন হল ৮৬৮ পয়েন্ট।
করোনা আতঙ্কের প্রভাবে গোটা দুনিয়ার শেয়ার বাজারে ধস নামল। বৃহস্পতিবার সকালে সেনসেক্স ২৭০০০ পয়েন্ট পড়েছে। বিগত ১৭ মাসে সেনসেক্সের রেকর্ড পতন এটাই। ২ বছরের মধ্যে নিফটিরও সর্বোচ্চ পতন হয়েছে। ১০ হাজার পয়েন্ট পড়েছে নিফটি।
বুধবার রাতে করোনাকে ‘মহামারি’ ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ছড়িয়ে পড়েছে অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া বাকি ছ’টি মহাদেশেই। ইউরোপীয়দের আমেরিকা ভ্রমণের উপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। গোটা বিশ্বকে ক্রমেই গ্রাস করছে মারণ ভাইরাস।
বৃহস্পতিবার বাজার খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই ১,৮০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স সূচক। বর্তমানে তার সূচক ১,৮২১.২৭ কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৩,৮৭৬.১৩ পয়েন্টে। অন্য দিকে ৫৪১.৮৫ পয়েন্ট কমে এসে নিফটি দাঁড়িয়েছে ৯,৯১৬.৫৫-এ।
করোনাভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে হু বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে মৃত্যু মিছিলে এগিয়ে রয়েছে ইরান এবং ইতালি। তবে অন্যান্য দেশগুলিতেও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা, সে বিষয়েও সতর্ক করেছে ওয়র্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
অপরিশোধিত তেলের দামের ওপরেও করোনার প্রভাব পড়ার প্রভূত আশঙ্কা করছেন অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা। তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে সৌদি আরব আর রাশিয়ার মধ্যেও সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।