দেশের অর্থনীতির ওপর করোনা ক্ষতর প্রভাব যতটা গভীর বলে আঁচ করা হয়েছিল কিছুদিন আগে, আদতে তার চেয়েও অনেক বেশি বলেই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং গোষ্ঠী গোল্ডম্যান স্যাকস। বুধবার তারা জানিয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পরিমাণ ১.৬ শতাংশে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিছুদিন আগেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৩.৩ শতাংশে।
বিগত দু'সপ্তাহে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে জানিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে সারা দুনিয়াজুড়েই মন্দা চলবে ২০২০ তে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৩.৭ শতাংশ কমবে বলে আঁচ করা হলেও এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে ৬.২ শতাংশ কমবে।
আরও পড়ুন, মুকেশের সম্পত্তিতে কোভিড কামড়, এক ধাক্কায় কমল ২৮ শতাংশ
করোনা সংক্রমণ আটকানোর জন্য দেশে জারি করা হয়েছে তিন সপ্তাহের লকডাউন। সেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সংকটের মুখে দেশের অর্থনীতি। দিনমজুররা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই। কার্যত ধুকতে শুরু করেছে অর্থনীতি। সপ্তাহ খানেক আগেই ২০২০ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার অর্ধেক হওয়ার আভাস দিয়েছে মুডিজ ইনভেস্টর্স সার্ভিসেস। আশঙ্কা করা হচ্ছে চলতি বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার নামতে পারে ২.৫ শতাংশে।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় রেপো রেট কমাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
এর আগে মুডিজ আভাস দিয়েছিল ৫.৩ শতাংশ থাকতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার। করোনার প্রকোপ যে আচ্ছন্ন করেছে ভারতের অর্থনীতিকে, তা বেশ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে মুডিজের এই আভাস থেকে। বুধবার সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জেরে বিমান পরিবহণ, রেল স্তব্ধ। সরকারি-বেসরকারি বাসও চলাচল কার্যত স্তব্ধ।