রিলায়েন্স জিও-র ৯.৯৯ শতাংশ শেয়ার কিনল ফেসবুক। ৪৩,৫৭৪ কোটি দিয়ে রিলায়েন্স জিও-র ওই পরিমান শেয়ার কিনেছে ফেসবুক। জিও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহায়ক একটি সংস্থা, যা ডিজিটাল অ্যাপস, মোবাইল সহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সব ধরনের পরিষেবা দিয়ে থাকে। ফেসবুকের বিনিয়োগের ফলে জিও প্ল্যাটফর্মগুলির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪.৬১ লক্ষ কোটি টাকা। এর আগে জিও-র বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৬৫ থেক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বিপুল বিনিয়োগের পর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ পোস্ট করে জানিয়েছেন যে, 'এই দুই বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ভারতে বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত করবে।' তাঁর সংযোজন, 'লকডাউনে ক্রেতাদের সঙ্গে সংযোগ রাখতে ও ব্যবসায়িক বৃদ্ধির লক্ষ্যে বশিরভাগ উদ্যোক্তারই হাতিয়ার ডিজিটাল মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহায়ক হতে পারি। ভারতে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নতুন সম্ভাবনার উদ্দেশেই আমরা জিও-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছি।'
আরও পড়ুন- চিনের ‘ভয়ে’ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে বড় বদল কেন্দ্রের
বিবৃতি দিয়ে ফেসবুকের রাজস্ব বিভাগের প্রধান ডেভিড ফিশার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ভারত) অজিত মোহন জানিয়েছেন, 'এই বিনিয়োগ ভারতের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা এবং এ দেশে জিও-র যে নাটকীয় উত্থান ঘটেছে তার প্রতি আমাদের উচ্ছ্বাসকে ব্যক্ত করে। চার বছরেরও কম সময়ে জিও ৩৮৮ মিলিয়নের বেশি মানুষকে অনলাইনে সংযুক্ত করেতে পেরেছে, উদ্ভাবনী উদ্যোগ তৈরি ও নতুন পথে সংযুক্ত হতে উৎসাহিত করেছে। আমরা আরও বেশি মানুষকে জিও-র সঙ্গে যুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
আরও পড়ুন- ‘মহামন্দা’ পরিস্থিতিতে রিভার্স রেপোরেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাল আরবিআই
ফেসবুকের শেয়ার অংশীদারিত্ব প্রসঙ্গে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'প্রত্যেক ভারতীয় ও দেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের বিকাশ-উন্নয়নমুখি রূপান্তরের স্বার্থে আমাদের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসাবে ফেসবুককে স্বাগত জানাই।' এই সংযুক্তি প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'র মূল দুটি লক্ষ্য 'সহজ জীবনযাত্রা' এবং 'সহজে ব্যবসা'র করার উদ্যোগের সহায়ক হবে।' লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। আম্বানি মনে করেন, করোনা পরিস্থিতি মেটার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রেও ফেসবুক-জিও সংযুক্তির বিশেষ ভূমিকা থাকবে বলে জানান মুকেশ আম্বানি।
ফেসবুক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'মূলত ভারতের ৬০ মিলিয়ন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে সহায়তাই সংস্থার লক্ষ্য। কারণ এগুলিতেই বেশিরভাগ কর্মসংস্থান তৈরি হয়। বর্তমানে মূল লড়াই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। এই লড়াইতে দুই সংস্থাই শামিল। আগামী সময়ে মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার জন্য সংস্থা কাজ করছে।' জিও-র অংশীদার হয়ে হোয়াটসঅ্যাপকে সুপার অ্যাপে রূপান্তর করতে আগ্রহী ফেসবুক।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন