জিএসটি থেকে যে পণ্যগুলো ছাড় পাচ্ছে, তারা তালিকা মঙ্গলবার প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, এই তালিকার বেশিটাই রয়েছে সেই সব খাদ্যবস্তু, যেগুলো বিনা প্যাকেটে বা খোলা বিক্রি হয়। অর্থাৎ, এই জাতীয় পণ্য বিক্রির আগে বা পড়ে প্যাকেটজাত করা হয় না। এই নির্দিষ্ট পণ্যগুলো খোলা বিক্রি হলে, তাতে জিএসটি লাগু হবে না, বলেই সীতারামন জানিয়েছেন।
তালিকায় আছে, ডাল, গম, ওটস, ভুট্টা, চাল, আটা, ময়দা, সুজি, রাই, বেসন, দই এবং লস্যির মত কিছু খাদ্যপণ্য। এর আগে জিএসটির হার এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভে মঙ্গলবার স্থগিত হয়ে যায় লোকসভার কার্যক্রম। তারই প্রেক্ষিতে ধারাবাহিক টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে জিএসটির নতুন হার। টুইটে সীতারামন খাদ্যদ্রব্যের ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন। জানিয়েছেন, এই দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত তাঁর একার নয়। জিএসটি কাউন্সিলই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতমাসে, ২৮ জুন মন্ত্রিগোষ্ঠী যখন দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সব রাজ্যের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন বলেই সীতারামন জানান।
আরও পড়ুন- নির্বাচনকে ভয় পান না, অখণ্ড ভারত গঠনই লক্ষ্য, দাবি মার্গারেট আলভার
বিরোধীদের ক্ষোভের কারণ উড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'এই প্রথমবার এই জাতীয় খাদ্য সামগ্রীর ওপর কর দেওয়া হচ্ছে না। প্রি-জিএসটি আমলে রাজ্যগুলো খাদ্যশস্য থেকে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব সংগ্রহ করছিল। পাঞ্জাব একাই ক্রয় করের মাধ্যমে খাদ্যশস্যের ওপর ২,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। আবার উত্তরপ্রদেশ এভাবেই ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল।'
সীতারামন জানান, যখন জিএসটি চালু হয়েছিল, তখন ব্র্যান্ডেড ডাল, ময়দার ওপর ৫ শতাংশ জিএসটি বসেছিল। পরবর্তীতে এই ধরনের পণ্যের জিএসটির হার কেবল সংশোধিত হয়েছে।' সীতারামনের অভিযোগ, খাদ্যপণ্যে জিএসটি ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে বড় ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন নামী সংস্থা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুযোগ নেওয়ায়, বহু খাদ্যপণ্য থেকে সরকারের জিএসটি পাওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে।
Read full story in English