পেট্রোল এবং ডিজেলে বিশেষ বাড়তি শুল্ক বাড়াল কেন্দ্র। পেট্রোলের ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে লিটার পিছু ১৮ টাকা এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে লিটার পিছু ১২ টাকা। আগের থেকে যা লিটার পিছু ৮ টাকা বেশি। যা পেট্রোলের ক্ষেত্রে ১০ টাকা এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে লিটার পিছু ৪ টাকা বেশি।
শুল্কের ক্ষেত্রে এক টাকাও বাড়ালে বার্ষিক ১৩ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা রোজগার হতে পারে কেন্দ্রের। করোনার আবহে দেশের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন, লকডাউন-এর আবহে ঐতিহাসিক পতন ভারতের শেয়ারবাজারে
শুল্কের উর্ধ্বসীমা বাড়ানো হলেও, এখনই খুচরো মূল্যের ওপর তার কোনও প্রভাব পড়ছে না। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের সুবিধা কমাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দেশজুড়ে লকডাউনের ফলে পেট্রোল, ডিজেলের চাহিদাও বেশ কিছুটা কমবে। দেশে রাতারাতি বিমান, রেল এবং সড়ক পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জ্বালানির চাহিদা অস্বাভাবিক রকম হ্রাস পেতে শুরু করবে।
চলতি বছরের শুরু থেকে চিনে সংক্রমণ হওয়া শুরু হয় কোভিড-১৯ ভাইরাস। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়ে সারা দুনিয়ায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। এই পরিস্থিতিতে গাঢ় সংকটে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। ভারতের অর্থনীতির ছবিটাও তথৈবচ। বার্ষিক আয়কর থেকে সরকারের যা আয় হয়, রাতারাতি কমতে শুরু করেছে তা। অতএব পরিস্থিতি সামাল দিতে পেত্রল-ডিজেলের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে যতটা সম্ভব ঘাটতি পুষিয়ে নিতে চাইছে ভারত।
Read the full story in English