দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার সামান্য বাড়ল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৪.৭ শতাংশে। শুক্রবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের তরফে এমন তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জিডিপি-র হার ছিল ৪.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এবার মাত্র .২ শতাংশ বেড়েছে।
২০১৮-১৯ সালে এই সময় জিডিপির হার ছিল ৫.৬ শতাংশ। ২০১২-১৩ সালে জানুয়ারি-মার্চের পরে ডিসেম্বরে জিডিপি-র হার সর্বনিম্ন ছিল, এ সময় আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছিল ৪.৩ শতাংশে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে শেয়ার বাজারে ধস
উল্লেখ্য,এবার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার আগে সংসদে পেশ করা ২০২০ সালের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টে আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬ থেকে ৬.৫ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ডঃ কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম। কেন্দ্রীয় আর্থিক সমীক্ষা বলছে চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছুঁয়েছে ৫ শতাংশ। সমীক্ষা রিপোর্টে বৃদ্ধি ফেরাতে আর্থিক ঘাটতি শিথিল করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে। এছাড়া দেশে ব্যবসা আরও সহজ করতে আরও সংস্কারেরও কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্ব বাজারে আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে, যা ভারতকে প্রভাবিত করেছে। রিপোর্টে স্বীকার করা হয়েছে যে দেশীয় আর্থিক খাতে সমস্যার কারণে বিনিয়োগে মন্দা চলছে।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার বার সুদের হার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের মত, “অদূর ভবিষ্যতেই আবার আরবিআই সুদের হার কমাতে পারে। তবে এই পদক্ষেপ কিন্তু অর্থনীতির তাৎক্ষণিক ছবিটা পাল্টাতে পারবে না”। গত নভেম্বরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন, ভারত আর্থিক মন্দা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারে কী না, সে সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করার সময় আসেনি, বিভিন্ন সংস্থা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। তা বাস্তবায়িত করতে সময় লাগবে”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন