মঙ্গলবারই পালিত হল কেন্দ্রীয় সরকারের 'গরিবকল্যাণ সম্মেলন'। তার আগে সোমবার সরকারের আট বছর পূর্তি হয়েছে। কারণ, ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৯ সালের ৩০ মে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন। আর, তার পরদিনই মিলল সুসংবাদ। দেশের ডিজিপি বেড়েছে। রীতিমতো নথি প্রকাশ করে জানাল জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে দেশের ডিজিপি বেড়েছে ৮.৭%। শুধু তাই নয়। গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকেও অব্যাহত ছিল বৃদ্ধির হার, বেড়েছিল ৪.১%। যদিও, সেটাই শেষ কথা নয়। ঠিক আগের ত্রৈমাসিকেই, মানে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে দেশের ডিজিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৪%। যার মানে, গত অর্থবর্ষে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ডিজিপি কমেছে।
এই জিডিপি বৃদ্ধি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তার আগের অর্থবর্ষ ছিল কোভিডকাল। ২০১৯ আর ২০২০ সালের সেই সময়কাল পেরিয়ে অর্থনৈতিক অগ্রগতি পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করেছিল গোটা বিশ্ব। যাতে শামিল ছিল ভারতও। সেই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ডিজিপি বৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান নেহাত খারাপ না। তবে, সরকারের আশা ছিল একটু বেশি। ভেবেছিল জিডিপি ৯.২% বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেটাই ৮.৭% দাঁড়াল। যদিও তা-ও, নেহাত মন্দ নয়। আর, এর ফলেই আশা চড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- সকালে গিয়ে ফিরতে হচ্ছে রাতে, পেট্রোল পাম্পে চূড়ান্ত হয়রানি, মাথায় হাত মহিলা অটোচালকের
কিন্তু, এবার আবার আশায় বাধা সেধেছে ইউক্রেনের লড়াই। যার ফলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। কমেছে জোগান। তার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উত্পাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার ওপর আবার রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন রয়েছে। আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত রাশিয়ার সঙ্গে সেই লেনদেন ভারতকে আদৌ এগিয়ে দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় বিশেষজ্ঞরা। সেই সব কথা মাথায় রেখে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই এবার দেশের মোট উত্পাদনের হার আশানুরূপ হবে না, বলেই মনে করছে। এমনকী, গত অর্থবর্ষের চেয়েও দেশের জিডিপির হার কম হবে বলেই মনে করছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই ব্যাপারে আরবিআইয়ের ধারণা, চলতি অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২%।
Read full story in English