খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে, আগামী দিনে পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর?

এক বছরে কিছুটা বৃদ্ধি হলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। যা বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এক বছরে কিছুটা বৃদ্ধি হলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। যা বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনের পর জিডিপির উত্থান হয়েছে ঠিকই। তবে তার পুরোটাই নেগেটিভ। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল স্ট্যাটেস্টিকাল অফিস (এনএসও) চলতি অর্থবর্ষের জিডিপির যে বৃদ্ধি প্রকাশ করেছে তা মাইনাস ৭.৭ শতাংশ। সরকারি অনুমান- বিদ্যুৎ এবং জ্বালানী খরচ, পণ্য ও পরিষেবা কর সংগ্রহ, কোভিড -১৯ দ্বারা নেতিবাচক বৃদ্ধির পরিমাণ বেড়েছে। যদিও সরকারের দাবি লকডাউনে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল তেমন হয়নি।

Advertisment

এনএসও জানায় যে এক বছরে কিছুটা বৃদ্ধি হলেও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। যা বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও আরবিআইয়ের তরফে সুদের হার আরও কমানো বা উপযুক্ত আর্থিক নীতি অবস্থানও নিয়েছে। এনএসওর জিডিপি তথ্য জানায় ইউএন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ডিসেম্বরের জন্য সর্বশেষ খাদ্য মূল্য সূচক (এফপিআই) প্রকাশ করেছে।

সেখানেই দেখা যাচ্ছে খাদ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ছ'বছরের মধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধি সর্বোচ্চ।গম, ভুট্টার দানা, সোয়াবিন, পাম তেলের দাম বিশ্ব বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। স্কিমড মিল্ক পাউডারেরও দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। মূলত, করোনা-লকডাউনের জেরেই কৃষিজ পণ্যের দাম বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

ভারতে মে মাস থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল হলেও খাদ্যের বিষয়ে অনেকাংশেই নির্ভর করতে হয় বিদেশের উপর। থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, ইউক্রেন থেকে অনেক খাদ্য পণ্যে আসে। কিন্তু কোভিডের জেরে তা বন্ধ হয়েছে। ফলে বাজারে চাহিদা বাড়লেও পর্যাপ্ত যোগান নেই। যার জেরে বেড়েছে দাম।

Advertisment

দেশে যেমন দুধের দাম বাড়তে পারে অনেকটাই। একদিকে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, আরেকদিকে ক্রমশ বেড়েছে দুধের ঘাটতি। ফলে নতুন বছরেই দাম বৃদ্ধি পেতে চলেছে দুধের। রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলে ডেয়ারি ফার্মাররা দুধের জন্য প্রতি লিটারে ২৫ থেকে ২৬ টাকার দাম নির্ধারণ করছেন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

food Lockdown