সিনেমা, সাহিত্যে রোবটকে নিয়ে ভাবনা চিন্তা এ দেশে অনেকটাই এগিয়েছিল। এখন অবশ্য বইয়ের পাতা কিমবা সেলুলয়েড ছেড়ে অনেকটাই এগিয়েছে রোবট্টিক্সের ভাবনা। রোবট এখন দেশের এক ফুলে ফেঁপে ওঠা শিল্প। রোবোটিক্সের ছাতার ভেতর ঢুকে পড়েছে ছোট ছোট শিল্পের অনেক ভাগ। চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগীর যত্ন নিতে অথবা চিকিৎসককে সহায়তা করছে রক্ত মাংসের মানুষের বদলে আস্ত রোবট।
অনলাইন কেনাকাটাতেও সহায় হতে চলেছে রোবট। ই বিপননের ক্ষেত্রে পরিষেবা খরচাসাপেক্ষ হয়ে ওঠে ডেলিভারির ঝামেলার জন্যই। ভবিষ্যতে ডেলিভারির জন্য রোবটকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিভিন্ন সংস্থা। ব্যয় সঙ্কোচনের দীর্ঘমেয়াদী উপায় হিসেবে এই ভাবনা ফলপ্রসূ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন, ট্রেনে সফরকালে বাড়িতে চুরি? ক্ষতিপূরণ দেবে আইআরসিটিসি
গৃহকর্মে নিপুণ রোবটের প্রয়োজনীয়তাও ক্রমশ বাড়ছে ঘরে ঘরে। রান্না করা থেকে বাসন মাজা, আবার সময় মতো বয়স্ক মানুষের দেখভাল করা, সঙ্গ দেওয়া সব কাজই রপ্ত করবে রোবট। রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বিমানবন্দরে যাবতীয় পরিষেবা দেওয়ার জন্য থাকবে হিউম্যানয়েড। মানুষের মতোই সংবেদনশীল এবং অনুভূতিপ্রবণ হবে এরা। দরকারে মানুষের একাকীত্বও কাটাবে এরা।
দেশের এক মার্কেট রিসার্চ সংস্থার অনুমান আগামী ২০২০ এর মধ্যে দেশের রোবট বাজার প্রায় ২০ গুণ প্রসারিত হবে। রোবটকে নিয়েও বাড়বে মানুষের প্রত্যাশা। প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবের ব্যবধান বাড়তে থাকলেই ফের শুরু হতে পারে সমস্যা।