/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/job.jpg)
বিগত ৬ বছরে দেশের কর্ম সংস্থান সবচেয়ে কমেছে। এই হিসেব দিয়েছে সেন্টার অব সাসটেইনেবল এমপ্লয়মেন্ট অ্যাট দ্য আজিম প্রেমজি ইউনিভার্সিটি। রিপোর্ট বলছে স্বাধীনোত্তর ভারতে ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ এর মধ্যে দেশের কর্ম সংস্থান সবচেয়ে কমেছে। সন্তোষ মেহরোত্রা এবং জজাতি কে পারিদা মিলে এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। মেহরোত্রা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, পারিদা পাঞ্জাব কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের।
এর আগেও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিমাংশু এই তথ্য সামনে এনেছিলেন, কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রথম রিপোর্ট পেশ হল। রিপোর্ট বলছে ২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ এর মধ্যে ৯০ লক্ষ মানুষ বেকার হয়েছেন, ভারতের ইতিহাসে যা বেনজির।
আরও পড়ুন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ‘সবচেয়ে খারাপ দশা’র জন্য রাজন-মনমোহনকে দুষলেন সীতারমণ
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের তরফে অমরেশ দুবে এবং লাভিশ ভাণ্ডারী একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন ইঙ্গিত দিয়েছিল। সেই সমীক্ষার দাবি ছিল ২০১০-২০১১ অর্থ বর্ষে দেশে কর্ম সংস্থানের পরিমাণ ছিল ৪৩৩ মিলিয়ন। ২০১৭-১৮ অর্থ বর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৭ মিলিয়ন। অন্যদিকে মেহরোত্রা এবং পারিদার দাবি ২০১০-২০১১ তে ৪৭৪ মিলিয়ন কর্ম সংস্থান ছিল। তা কমে ৪৬৫ মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। হিমাংশুর সমীক্ষার ফলাফল বলছে বিগত ৬ বছরে ১৫০ লক্ষ কর্ম সংস্থান কমেছে।
সবচেয়ে অবাক করা ঘটনা এই, যে সমস্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কর্ম সংস্থান সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, প্রতি ক্ষেত্রেই তা কিন্তু অভিন্ন রয়েছে। মূলত জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংগঠন (ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন)-এর ২০০৪-২০০৫, ২০১১-১২ -র রিপোর্ট থেকেই সব তথ্য নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘বিশ্বের ৯০ শতাংশ জুড়ে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার কমেছে’
এবং দুটি রিপোর্ট প্রস্তুতকারক এখনও একে অন্যের রিপোর্ট পড়ে দেখেননি। তবে ফলাফলের এমন প্রকট তারতম্যের পেছনে থাকতে পারে মূলত দু'টি কারণ।
এক, সমীক্ষার ক্ষেত্রে বড় সংখ্যক জনসংখ্যা নিয়ে গবেষণা করলে ফলাফলের তারতম্য ঘটতে পারে। ২০১৭-১৮ এর সমীক্ষার ক্ষেত্রে ভাণ্ডারী এবং দুবে ১৩৬ কোটি জনসংখ্যার নিরিখে সমীক্ষা চালিয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের হিসেব বলছে ১৩৩ কোটি। হিমাংশুর সমীক্ষা ১৩১ কোটির ওপর ভিত্তি করে ছিল।
দ্বিতীয় কারণ হতে পারে ভাণ্ডারী এবং দুবে 'প্রিন্সিপল স্ট্যাটাস'-এর ওপর ভিত্তি করে রিপোর্ট পেশ করেছেন। বাকিরা ধরতব্যের মধ্যে রেখেছেন 'সাবসিডিয়ারি স্যাটাস'কেও।
Read the full story in English